মেয়ের দেহ গ্রামে আনতেই হবে, শ্বশুরবাড়ি ভাঙচুর গ্রামের বাসিন্দাদের

ভিন রাজ্যে মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে তার স্বামী। মেয়ের মৃতদেহ দাসপুরে আনতে হবেয এই অভিযোগ তুলে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে ভাঙচুর চালালো মেয়ের বাপের বাড়ির লোকজন।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
THUM (12).jpg

নিজস্ব সংবাদদাতা:  ভিনরাজ্যে মেয়েকে খুন করেছে জামাই। মেয়ের মৃতদেহ দাসপুরে আনতে হবে, এই দাবি জানিয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি ভাঙচুর চালালো বাপের বাড়ির লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানা বেলেঘাটা এলাকায়। জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে দাসপুর বেলেঘাটার বাসিন্দা শম্ভু পালের ছেলে দীপঙ্কর পালের সাথে বিয়ে হয় ঘাটালের শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা সুইটি দোলইয়ের, বিয়ের পর থেকে মাঝে মধ্যেই অশান্তি লেগে থাকত সংসারে। সংসারে অশান্তির জেরে পরিস্থিতি বিবাহ বিচ্ছেদের দিকে যায়। দাসপুরের বেলেঘাটায় স্থানীয় পঞ্চায়েতের কাছে  মেয়ের শ্বশুর বাড়ি থেকে আর একটা সুযোগ চাওয়া হয়। এরপরেই  দীপঙ্কর তার স্ত্রী সুইটি পালকে নিয়ে দুমাস আগে মুম্বাই কাজে চলে যাই। গত শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ ঘাটালের শ্রীপুর গ্রামে গৃহবধূর বাপের বাড়িতে ফোন যায়, যে মুম্বাইয়ে তাদের মেয়ে‌ গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।  গৃহবধূর বাপের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ আত্মহত্যা নয় তাদের মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে তার স্বামী দীপঙ্কর পাল। তারপর গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন দাবি করে বাপের বাড়ির সদস্যদের কাছে যে তাদের মেয়ের মৃতদেহ মুম্বাই থেকে দাসপুরে নিয়ে আসা হলে দাসপুরে সৎকার হবে। গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা বাপের বাড়ি সদস্যদের দাবি মেনে না নিলে আজ দুপুর নাগাদ বেলেঘাটায় গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি ভাঙচুর চালায় বাপের বাড়ির লোকজন। তাঁদের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে তার স্বামী, মেয়ের মৃতদেহ ভিন রাজ্য থেকে দাসপুরে আনতে হবে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দাসপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।