বিদ্যাসাগর মেলায় নিজের হাতে গড়া বিদ্যাসাগরের মূর্তির পসরা নিয়ে বিদ্যাসাগরেরই জন্মভূমির বাসিন্দা

সম্প্রতি মেলায় বিদ্যাসাগরের মূর্তি কেনায় আগ্রহ কমেছে তাই আক্ষেপ শিল্পীর।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
WhatsApp Image 2025-01-06 at 5.23.13 PM

নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের বীরসিংহ গ্রামে শুরু হয়েছে বিদ্যাসাগর মেলা। ৪ঠা জানুয়ারী থেকে শুরু হয়েছে এই মেলা যা চলবে ১০ই জানুয়ারী পর্যন্ত। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বাড়ি থেকে কিছু দুরেই ভগবতী বিদ্যালয়ের মাঠে রাজ্য সরকারের যুবকল্যাণ দপ্তরের সহযোগিতায় মেলার আয়োজন হয়েছে।

মেলায় প্রচুর দোকান বসলেও মেলায় প্রবেশ করলে একটি মাত্র দোকান আছে যেখানে মিলবে বিদ্যাসাগরের মূর্তি। ছোট-বড় মাটির ও সিমেন্টের তৈরি বিদ্যাসাগরের মূর্তি নিয়ে বিক্রির জন্য দোকান খুলেছেন বিদ্যাসাগরেরই জন্মভূমি বীরসিংহ গ্রামের বাসিন্দা তাপস হাজরা। প্রায় ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে বীরসিংহ গ্রামে তাপস হাজরা মৃৎশিল্পীর কাজ করেই সংসার চালান। যদিও তাপসের দাবি তিনি অন্যান্য কাজ করলেও গুরুত্ব দেন বিদ্যাসাগরের মূর্তি তৈরিকে। বাড়ি থেকে পাইকারিভাবে বিদ্যাসাগরের মূর্তি বিক্রি হয়ে চলে যায় অন্যত্র আর প্রত্যেক বছর বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জন্মস্থান বীরসিংহে বিদ্যাসাগর মেলাতে তিনি নিজের হাতে গড়া বিদ্যাসাগরের বিভিন্ন মূর্তি বিক্রি করেন। ৪০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা দামেরও মূর্তি রয়েছে।

গত ১০-১৫ বছর আগে মেলায় পসরা সাজিয়ে যে হারে মূর্তি বিক্রি হত বা মানুষের মধ্যে কেনার চাহিদা থাকত তা বর্তমানে অনেকটাই কমেছে বলে আক্ষেপ শিল্পীর। বিদ্যাসাগর মেলাতে অন্যান্য দোকানে উপচে পড়া ভিড় হলেও বিদ্যাসাগরের মূর্তি বিক্রির দোকানে ভিড় লক্ষ্য করা গেল না তেমন। মেলায় আসা এক প্রবীণ ব্যক্তির দাবি মেলার বৈশিষ্ট্য বিদ্যাসাগর মহাশয়কে নিয়ে, তাই মূর্তি সকলেরই সংগ্রহ করা উচিত। অনেকেই আবার দূর থেকে দেখে, কেউবা সামনে গিয়ে মূর্তি দেখে পাশ ফিরিয়ে চলে যাচ্ছেন। বীরসিংহ গ্রাম খোদ বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জন্মস্থান। তারই জন্মস্থানে রাজ্য সরকারের যুবকল্যাণ দপ্তরের সহযোগিতায় চলা বিদ্যাসাগর মেলায় বিদ্যাসাগরের মূর্তি কিনে ঘরে নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা বা আগ্রহ কম মেলায় আসা দর্শনার্থীদের। এটা কি দুঃশ্চিতার নয়? তা নিয়ে বিভিন্ন মত অনেকের। তবে বিদ্যাসাগরের কর্মকান্ড তার জীবনী ছুঁয়ে দেখা বা স্মরণে রাখা যে সকলেরই উচিত তা মানছেন সকলেই।