নিজস্ব সংবাদদাতা: হিন্দুর গাড়িতে সংখ্যালঘুদের তাণ্ডবের ভিডিও সামনে এনে বঙ্গ পুলিশের দিকে প্রশ্ন তুলে দিলেন তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তিনি ট্যুইট করে বলেছেন, "পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা বাংলাদেশ দেখেছিল এবং সেখান থেকে শিক্ষা নিতে পারত তাদের ভবিষ্যৎ কি হতে পারে।।
পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের নিয়ে সিনেমা তৈরি করছে একটা মমতা ব্যানার্জি এবং তার ট্রেলার আজকে কিছুটা দেখা গেছে।।
এই ঘটনাটা সাঁতরাগাছির কাছাকাছি কোথাও।। মমতার ভোট ব্যাংকের মিছিল চলছিল এবং সেখানে মহাদেবের স্টিকার লাগানো একটা গাড়ির ওপর কি রকম তাণ্ডব হল আপনারা দেখুন।
যা তাণ্ডব করলো তারা এই তান্ডব করার পিছনে একটা কারণ খাড়া করেছিল ।। তারা বলেছে গাড়ি থেকে নাকি তাদের বন্দুক দেখিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে।।
পুরো ঘটনা গুলো ঘটছিল পুলিশের সামনে কিন্তু পুলিশ অদ্ভুতভাবে চুপ ছিল এবং এই তান্ডব লীলা দেখছিল।।
এখান থেকে কয়েকটা প্রশ্ন আসছে।।
১. গাড়ি থেকে বন্দুক দেখিয়ে হুমকি দেওয়ার ভিডিওটা কোথায় এবং যদি বন্দুক দেখানো হয় তাহলে পুলিশ তৎক্ষণাৎ ওখানে উপস্থিত থাকার পরেও ব্যবস্থা কেন নিল না?
২. পুলিশ ছিল ওখানে, যারা তাণ্ডব করছিল তারা ওই লোকগুলোকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে পারতো এবং পুলিশ বন্দুক বাজেয়াপ্ত করতে পারত।। বন্দুকের লাইসেন্স থাকলেও অকারণ কাউকে বন্দুক দেখানো যায় না।। গাড়ির ভিতর যারা ছিল তাদেরকে পুলিশ ধরেনি এবং কোনরকম বন্দুক বাজেয়াপ্ত হয়নি।। তাহলে গাড়িটার ওপর এরকম ভাঙচুর কেন করা হলো? মহাদেবের স্টিকার ছিল বলে?
৩. পুলিশ উপস্থিত থাকার পরেও কোন ব্যবস্থা কেন নেয় নি? গাড়ির ভিতরে যারা ছিল তাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল তারপরেও এই লোকগুলোকে কেন এরেস্ট করা হয়নি?
এই প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তরই হয়তো আপনারা জানেন।। গাড়িটা ভাঙার পিছনে একটা অজুহাত লাগতো।। ঠিক যেমন বেলডাঙ্গায় তান্ডব লাগানোর জন্য একটা অজুহাত লেগেছিল।।"
তরুণজ্যোতি তিওয়ারির এই ট্যুইট ঘিরে চর্চা শুরু হয়েছে।
/anm-bengali/media/media_files/JNV2fzISVa0jWW7rcJ6j.jpg)