উচা গোবিন্দপুর গ্রাম, বয়ে নিয়ে চলেছে এক অজানা ইতিহাস!

সরকারের কাছ থেকে পূজোর অনুদান পেয়েছে উচা গোবিন্দপুর দুর্গোৎসব কমিটি। 

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
bangladesh border edit.jpg

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রাম দুর্গোৎসবের আনন্দে মাতোয়ারা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি ব্লকের ৩নং ধলপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উচা গোবিন্দপুর গ্রামের অবস্থান সীমান্তের কাঁটাতারের ওপারে ভারতীয় ভূ-খন্ডে। প্রায় ৫০টি পরিবারের বসবাস উচা গোবিন্দপুর গ্রামে। গ্রামটির ভৌগলিক অবস্থান কাঁটাতারের ওপারে হওয়ার কারনে গ্রামবাসীদের চলাচলে রয়েছে নানারকম বিধিনিষেধ। 

গ্রামে রয়েছে দুর্গা মন্দির। গ্রামবাসীদের সূত্রে জানা গেছে প্রায় ৭৫ বছর পূর্বে গ্রামবাসীদের সহায়তায় টিন দিয়ে গ্রামে নির্মাণ হয় মন্দির। সেই থেকে গ্রামের একচালা টিনের মন্দিরেই পূজিত হয়ে আসছেন দেবী দুর্গা। মন্দির চাতাল থেকে কয়েক পা দূরত্বে বাংলাদেশ। মন্দির চাতাল থেকেই দেখা যায় ভারত - বাংলাদেশ সীমান্ত নির্ধারণ করা সাদা পিলার। 

mjmuiu88

আগে বাংলাদেশীরাও এই উচা গোবিন্দপুরের দুর্গোৎসবে সামিল হতেন, দেবীর পূজার পদ্মফুল, ফল মূল আসত বাংলাদেশ থেকে৷ কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সীমান্তের কড়া বিধিনিষেধের গেরোয় সেসব আজ অতীত। চলতি বছরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে পূজোর অনুদান পেয়েছে উচা গোবিন্দপুর দুর্গোৎসব কমিটি। 

গ্রামের রাস্তায় ইতিমধ্যেই জ্বলতে শুরু করেছে পূজোর আলো, মন্দির চাতালে হয়েছে প্যান্ডেল। গ্রামে জারি রয়েছে বিএসএফ-এর টহল। উচা গোবিন্দপুর গ্রামের গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন প্রতিবছর এই পূজোর দিনগুলিতে পূজো ঘিরে তারা গ্রামের মন্দিরেই আনন্দে মাতেন।  সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক অনুষ্ঠান এছাড়াও মেলার আয়োজন করা হয়। 

fghuyji

তাই উচা গোবিন্দপুর গ্রামে দেবী দুর্গার আগমনের পূর্বেই গ্রামের কচিকাঁচাদের সর্বক্ষণ আনাগোনা যেন মন্দির চত্বরে, পূজোর দিনগুলিতে অনাবিল আনন্দে মেতে উঠতে চলার আনন্দে মুখে হাসি। উচা গোবিন্দপুর দুর্গোৎসব কমিটির সম্পাদক অতুল চন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন পূজোর কয়েকটা দিন প্রতিমা দর্শনের জন্য বিধিনিয়মে কিছু ছাড় দেয় বিএসএফ। তিনি জানিয়েছেন গ্রামবাসীদের চাঁদা দিয়ে এই পূজো হয়, সরকারি অনুদানও তারা পান।

Adddd