নিজস্ব সংবাদদাতা : কামদুনি কাণ্ডের ১০ বছরের মাথায় আদালত রায় দিলেই হতাশ টুম্পা কয়াল, মৌসুমী কয়ালরা। আদালতের নির্দেশে রদ হয়েছে তিন জনের ফাঁসির সাজা। একজনকে বেকসুর খালাসও ঘোষণা করা হয়েছে তথ্য প্রমাণের অভাবে। বাকি ২ জনের ফাঁসির সাজা রদ করে, বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। বাকি তিন অভিযুক্ত, যাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত, তাদের ক্ষেত্রেও একজনের সাজা রদ করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। অপর দু’জনকেও ১০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এবং অনাদায়ে আরও তিন মাসের জেলে কাটাতে হবে। ২০১৩ সালে যে নারকীয় ঘটনা ঘটেছিল তার পর থেকেই দোষীদের সাজার দাবিতে উত্তাল হয়েছিল গোটা রাজ্য। পথে নেমেছিলেন কামদুনির মানুষরা। অন্যতম দুই প্রতিবাদী মুখ হলেন টুম্পা কয়াল ও মৌসুমী কয়াল। আদালতের রায় ঘোষিত। রায় ঘোষণার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। টুম্পা কয়াল বলেন, ''অনেক আশা নিয়ে আমরা হাইকোর্টে এসেছিলাম। নিরাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছি।'' অন্যদিকে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন বলে জানিয়েছেন টুম্পা কয়াল।