তেলের বরাদ্দ বাড়ানোর দাবিতে প্রতিবাদে নামল ট্রাক চালকরা

প্রতিবাদে নামল ট্রাক চালকরা।

author-image
Adrita
New Update
e

নিজস্ব সংবাদবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ কিলোমিটার প্রতি তেলের বরাদ্দ বাড়ানোর দাবিতে রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস রিফলিং সংস্থার ট্রাক বন্ধ রেখে প্রতিবাদে নামল ট্রাক চালকরা। পুজোর মুখে জ্বালানি গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় জ্বালানি গ্যাসের টান ধরেছে একাধিক জেলায়। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালানো হচ্ছে দাবী তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন নেতৃত্বের। এই আবহেই কটাক্ষ করেছে বিজেপি। তাদের দাবী, ' শ্রমিকদের সমস্যা মেটাতে ব্যর্থ, আর ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ব্যস্ত তৃণমূল। '

দুর্গাপুরের লেনিন সরণীর ইন্ডিয়ান অয়েল বটলিং প্লান্ট থেকে প্লান্টে জ্বালানি গ্যাস সরবরাহের জন্য রয়েছে বহু গ্যাস ট্যাঙ্কারসহ ২৫০ টি ট্রাক। ২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে দশ বছরের জন্য ট্রাকের মাধ্যমে জ্বালানি গ্যাস পরিবহনের চুক্তি হয় চালকদের সাথে। সেই চুক্তিতে এক লিটার ডিজেল পিছু তিন কিলোমিটার সাড়ে ৬০০ মিটারের টাকা বরাদ্দ করা হয়। কয়েক মাস ধরে চালকদের দাবি লিটার পিছু তিন কিলোমিটার ৫০০ মিটারের টাকা দিতে হবে। ট্রাক মালিকপক্ষ চালকদের দাবি না মানায় ৩৩টি গ্যাস ট্যাঙ্কার পরিবহন বন্ধ করে দেয় চালকরা।

ট্রাক মালিক তপন কুমার সাহার দাবি," যখন চুক্তি হয়েছিল তখন তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন সভাপতি সেই চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছিলেন। এক বছরের বেশি সময় ধরে পরিষেবা সঠিক থাকলেও হঠাৎ করে চালকরা এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় জ্বালানি গ্যাস সরবরাহের সমস্যা দেখা দিয়েছে।ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের। জ্বালানি গ্যাসও গাড়িতেই। এই সমস্যার কথা শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতিকেও বিষয়টি জানানোর পরেও কোন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। "

ট্রাক চালক সুমিত লায়েক বলেন,"  চুক্তি হয়েছিল ঠিকই কিন্তু ট্রাকে বেশি গ্যাস সিলিন্ডার চাপানোর জন্য ট্রাকের যান্ত্রিক গোলযোগ হচ্ছে। তাই তেল বাড়ানোর কথা বলছি আমরা। আমাদের দাবি না মানা হলে ট্রাক চালানো সম্ভব নয়। " জেলা বিজেপির সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেন,"  সবই তৃণমূলের অন্দরে কাটমানি নিয়ে দ্বন্দ্ব। শ্রমিকরা সমকাজে সমবেতন না পেয়ে প্রতিবাদ করছেন। আর শ্রমিকের সমস্যা সমাধান করতে ব্যর্থ শ্রমিক সংগঠন। "

দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের ব্লক সভাপতি কল্লোল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন," এই ধরনের কর্মকাণ্ড যারা করছেন তাদের ওপর নজর রয়েছে আমাদের। তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতিও বিষয়টি দেখছেন। দ্রুত সমস্যার যাতে সমস্যা হয় সেই ব্যবস্থাও করা হবে। "