ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল

তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

author-image
Adrita
New Update
দ

নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, এগরাঃ ফের প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। এবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খোদ এগরা শহরে। এগরা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের দিঘামোড়ে রাজ্যের শাসকদলের সাংগঠনিক সভায় ব্রাত্য থাকলো শহর তৃণমূলের সভাপতি। এগরা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূলের উদ্যোগে আয়োজিত সাংগঠনিক সভায় জেলা তৃণমূলের সভাপতি পিজুস কান্তি পন্ডা ও চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি এবং স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর শেখ সুরজ আলি'র উপস্থিতি থাকলেও কিন্তু হাজির ছিলেন না শহর তৃণমূল সভাপতি উদয় শঙ্কর পাল। তাহলে এগরায় ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল ! তা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে জোর গুঞ্জন।

hiring.jpg

এ বিষয়ে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ' সাংবাদিকদের কাজ হচ্ছে সবটাই গুলিয়ে দেওয়া। ওয়ার্ডের সভাপতি মিটিং ডাকতেই পারেন। তিনি মিটিংটা ডাকতেই পারেন। তিনি সৌজন্য বশত টাউন প্রেসিডেন্টকে ডেকেছেন, আবার জেলা সভাপতিকেও ডেকেছেন। টাউন প্রেসিডেন্ট অন্য কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য আসতে পারেননি। জেলা সভাপতি এসেছেন। এতে বিতর্কের কোন জায়গা নেই। আবার সন্দেহের কোন জায়গা নেই। এই প্রশ্ন আপনারা তুলছেন কেন !

গ

তবে এগরা শহর তৃণমূল সভাপতি উদয় শঙ্কর পালের দাবি যে, ' আমাদের বিধায়ক অবশ্য আমাকে জানতে চেয়েছিলেন যে আমাকে ওই মিটিংয়ে ডাকা হয়েছে না হয়নি। আমি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলাম যে আমাকে মিটিংয়ে ডাকা হয়নি। তারপর উনি আর কিছু বলেননি। আমিও জানি না। স্বাভাবিক আমি জানতে পারিনি তাই অন্য কাজে বেরিয়ে গেছি। জেলা সভাপতি আসছেন, এমএলএ আসছেন, আমি যদি জানতে পারতাম। আমাকে যদি ওয়ার্ড সভাপতি আগে থেকে বলতেন, তাহলে অন্য কর্মসূচি বাতিল করতাম। জেলা সভাপতি ও এমএলএ আসছেন তাহকে উনাদের গুরুত্ব দিয়ে এই মিটিংয়ে থাকতাম। যেহেতু জানতে পারিনি তাই থাকতে পারিনি। যদিও গোটা বিষয়টিকে নিয়ে কটাক্ষ করতে অবশ্য দেরি করেনি গেরুয়া শিবির। এগরা নগর মন্ডল বিজেপির সভাপতি চন্দন মাইতি জানিয়েছেন, এটা নতুন কথা নয়। তৃণমূলের যখন কেউ নতুন দায়িত্ব পায়। তাদের কাছের লোককে নিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তৃণমূল দলে যারা বেশি মাল কামাতে পারবে, কামিয়ে উপরে দিতে পারবে, তাদেরকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়। তৃণমূল দলটাই টাকা মারা কোম্পানি। এটাই তার স্পষ্ট উদাহরণ। ' 

hiren