দেশ স্তব্ধের হুঁশিয়ারি! কুরমিদের দাবির বিরুদ্ধে পথে আদিবাসীরা

বৃহস্পতিবার জামুরিয়ার চকদোলা মোড়ে বিপুল সংখ্যক আদিবাসী সংগঠনের লোকজন ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধে অংশ নেয়। হাতে প্ল্যাকার্ড ও ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র নিয়ে প্রতিবাদ জানায়।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
d

হরি ঘোষ, জামুড়িয়া : পশ্চিমবঙ্গের ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী সংগঠন আজ ১২ ঘন্টার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা নাগাদ আদিবাসী সমাজের লোকেরা জামুড়িয়ার ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের চাকদোলা মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে এবং কুরমি সমাজের এসটি, এসটি তালিকার অন্তর্ভুক্তির বিরোধ জানায় । পাণ্ডবেশ্বর ব্লক আদিবাসী সংগঠনের সদস্য অজিত কিস্কু জানান, ''কুরমি, মাহাতোরা অনৈতিকভাবে এসসি, এসটি তালিকাভুক্ত হতে চাইছে। যেটা আদিবাসী সংগঠনের লোকেরা কোনভাবেই মেনে নেবে না।''  আদিবাসী সংগঠনের দাবি না মানা হলে প্রয়োজনে আগামী দিনে সারাদেশ স্তব্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি সংগঠনের।

এদিনের বনধ কর্মসূচিতে  আদিবাসী সমাজের লোকেরা বলে যে কুরমি,মাহাতোরা ওবিসিতে আসে কিন্তু এখন তারা ষড়যন্ত্র করে নিজেদের এসটি-এস টিতে অন্তর্ভুক্ত করতে চায়, এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো সিআরআই রিপোর্টও অনৈতিকভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে।  আদিবাসী সমাজের দাবি মানা না হলে আগামী দিনে বাংলার পাশাপাশি বিহার, ঝাড়খণ্ড, আসামসহ  সহ গোটা দেশ স্তব্ধ করে দেবে আদিবাসী সংগঠন । আদিবাসীদের দাবি, তারা কখনোই কুরমিদের এসটি, এসটি তালিকায় অন্তর্ভুক্তি মেনে নেবেন না।
বৃহস্পতিবার জামুরিয়ার চকদোলা মোড়ে বিপুল সংখ্যক আদিবাসী সংগঠনের লোকজন ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধে অংশ নেয়। হাতে প্ল্যাকার্ড ও ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র নিয়ে প্রতিবাদ জানায়। আদিবাসীরা জানান, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই আন্দোলন চলবে বিশ্রামহীন ভাবে । যদিও আদিবাসী সংগঠনের ডাকা বৃহস্পতিবারের বাংলা বনধে সেভাবে বাংলায় কোনও প্রভাব পড়েনি। সকাল থেকেই খনি এলাকায় যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক, খোলা বাজার ঘাট-দোকানপাট। তবে বেলা ১০ টা থেকে আদিবাসী সংগঠনের লোকেরা চাকদোলা মোড়ের রাস্তা অবরোধ করলে পুলিশের হস্তক্ষেপে দু ঘন্টা পর অবরোধ উঠে যায়।