নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম : "বাহা মাঃমড়ে বঙ্গা " অর্থাৎ নতুনকে আবাহন এবং গ্রামের প্রতিটি মানুষের সুখসাচ্ছন্দ্যের আবেদন। আদিবাসী সমাজ কোনো মূর্তি পুজো করে না। তারা প্রকৃতিকেই দেবতা বলে মানে। শাল গাছ তাদের কাছে দেবতা। তাই প্রকৃতি-পশু-পাখি রক্ষার জন্যই এই পুজো।
আদিবাসী সমাজে সমস্ত পুজায় শাল ডাল বাধ্যতা মূলক। সেই শাল গাছের নতুন ফুলের পুজো করে। তারপর আদিবাসী মহিলারা সেই ফুল মাথায় গোঁজেন এবং পুরুষরা কানে গুঁজে পুজা সম্পন্ন করে। এই সময় আম সহ একাধিক নতুন ফল হয়৷ সেই সমস্ত ফল আগে প্রকৃতি দেবতাকে অর্পন করে তারপর নিজেরা ব্যাবহার করে। হলুদ জল ছড়িয়ে সব কিছু শুদ্ধ করে নেওয়া হয়। বাঙালিদের দোল খেলার মত হলুদ জলে একে অপরকে ভিজিয়ে নেওয়া কেই বাহা উৎসব বলে। একসাথে সমস্ত মানুষের কুশল ও নতুন ফলের ব্যাবহারকেই মাঃমড়ে বলে। একসাথে এই উৎসব পালন কেই বাহা মাঃ মড়ে বলে। ধূম ধাম করে ঝাড়গ্রামের রবীন্দ্র পার্কে তাদের জাহের থানে শাল গাছের তলায় এই উৎসব পালন হয়। মহিলারা সকালবেলা মাথায় জল নিয়ে শোভাযাত্রা করে জাহের থানে উপস্থিত হয়। সারা দিন ধরে শাল গাছের তলায় চলে পুজো। ধামসা মাদলের তালে তালে হয় নাচ-গান। বহু মানুষ এই উৎসব পালনে একত্রিত হন। পাশের রাজ্য ঝাড়খন্ড থেকেও লোক আসে। এই পুজোয় অনেকের উপর দেবতা ভর করে বলে কথিত আছে। ভর এলে সেই ভক্তকে আলাদা জায়গায় সড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।