নিজস্ব সংবাদদাতা: ৯ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে চন্দ্রকোনার শ্রীনগরে শুভেন্দু অধিকারীর জনসভা রয়েছে। সেই জনসভায় যাওয়ার আগে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, দোকান লুঠ ও বিজেপির কার্যালয়ে তালা লাগানোর ঘটনায় উত্তপ্ত দাসপুরের নাড়াজোল এলাকা। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার নাড়াজোলে বেছে বেছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয় পাশাপাশি লুঠের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় নাড়াজোলে বিজেপির একটি দলীয় কার্যালয়ে চাবি ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।অভিযোগের তির সরাসরি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনায় শুরু রাজনৈতিক তরজা। জানা যাচ্ছে, শুক্রবার সন্ধ্যার পর দাসপুর থানার নাড়াজোল ও কিসমত নাড়াজোল এলাকার একাধিক বিজেপির কর্মী সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় নাড়াজোলে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে। অন্যদিকে, ওই এলাকারই এক বীজ দোকানেও লুঠ চালানোর অভিযোগ উঠেছে।বীজ দোকানের মালিক কমল মাইতি জানান,তাঁর দোকান ভাঙচুর ও লুঠ চালানো হয়ছে।বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ,৯ ডিসেম্বর শনিবার চন্দ্রকোনার শ্রীনগরে শুভেন্দু অধিকারীর জনসভা।তারই প্রচারে নাড়াজোল জুড়ে বিজেপির তরফে মিছিল হয়।সেই মিছিলের পরই নাড়াজোল এলাকায় তৃণমূলের তরফে এই তাণ্ডব চালানো হচ্ছে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দাসপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছায়,পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে।তবে বিজেপি নেতাদের দাবি, এই ঘটনায় জড়িত তৃণমূলের নেতা কর্মীদের পুলিশ গ্রেফতার না করলে আগামীতে বড়সড় আন্দোলনে নামবে বিজেপি।তবে এই সমস্ত ঘটনা অস্বীকার করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।তাদের পাল্টা দাবি, এরকম কোনও ঘটনা ঘটেনি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, দাসপুরের নাড়াজোল এলাকার একটা অংশ চন্দ্রকোনা বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত।