প্রধানমন্ত্রী হোক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই! চাইছে তৃণমূল

মঙ্গলবার ১৮ জুলাই তারিখটা ভারতীয় রাজনীতি, রাজনৈতিক দল এবং আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন ছিল। দেশের এক প্রান্তে জড়ো হয়েছিল বিরোধী দলগুলি। অন্যদিকে দিল্লিতে হয়েছিল এনডিএ-র বৈঠক।

author-image
SWETA MITRA
New Update
mamata satabdi.jpg

 

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে রণনীতি সাজাচ্ছে বিজেপি বিরোধী দলগুলি। আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-কে চ্যালেঞ্জ জানানোর   ২৬টি বিরোধী দল তাদের জোটের নাম দিয়েছে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স (INDIA)। এদিকে কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড়ে নেই কংগ্রেস। এই প্রসঙ্গে বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy) জানান, ‘আমরা চাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই (Mamata Banerjee) হোক প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থী।‘

 

 

বেঙ্গালুরুতে বিরোধী দলগুলির বৈঠকের পর কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, "বিরোধী জোটে ১১ সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন করা হবে। মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত পরবর্তী বৈঠকে এর সদস্যদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।“

 

এদিকে মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে বিরোধী দলগুলির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স (ইন্ডিয়া) নামে জোট গঠনের ঘোষণা করেছে ২৬টি বিরোধী দল। বিরোধী দলগুলির বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘আমাদের ঐক্য দেখে মোদীজি ৩০টি দলের বৈঠক ডেকেছেন। এর আগে তারা তাদের জোট নিয়ে কথাও বলেননি।‘ একই সঙ্গে রাহুল গান্ধী বলেন, এটা এনডিএ ও ভারতের লড়াই।

 

মঙ্গলবার ১৮ জুলাই তারিখটা ভারতীয় রাজনীতি, রাজনৈতিক দল এবং আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন ছিল। একদিকে দক্ষিণের কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে কংগ্রেস ও ২৬টি  দল জড়ো হয়, অন্যদিকে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র ৩৮টি দলের একটি বিশাল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় রাজধানী দিল্লিতে। যদিও নয়টি প্রধান রাজনৈতিক দল এই দুটি বৈঠক থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গতকাল। যাকে ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।

 

ক্ষমতাসীন এনডিএ জোট এবং এর বিরুদ্ধে নতুন ভারত জোট থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নেওয়া দলগুলির মধ্যে রয়েছে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি), প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার জনতা দল সেকুলার, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতা দল, তেলেঙ্গানার ক্ষমতাসীন দল এবং কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের ভারতীয় রাষ্ট্র সমিতি, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডির ওয়াইএসআরসিপি, আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল এআইএমআইএম, পাঞ্জাবের শিরোমণি অকালি দল, হরিয়ানার ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদল এবং আসামের এআইইউডিএফ। চলতি সপ্তদশ লোকসভায় এই সব দলের মোট ৫৯ জন সাংসদ রয়েছেন, যা মোট সাংসদের ১১ শতাংশ।