নিজস্ব সংবাদদাতা: 'ভুয়ো ওষুধের জন্য মৃত্যু হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের, এর দায় কেন্দ্রীয় সরকারের।' দুর্গাপুর থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করলেন সাংসদ কীর্তি আজাদ। তিনি বলেন," যাদের লাইসেন্স দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার তারাই ভুয়ো ওষুধের কারবার করছে। আর সেই ওষুধ খেয়ে কোন কাজ হচ্ছে না রোগীদের। সেই কারণেই মৃত্যু হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে। আর বাড়ির লোকেদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসকদের। কিন্তু এর জন্য আসল দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার। আমি এর জন্য লড়ছি। যতদূর যাওয়ার যাব।" দুর্গাপুরের ইএসআই হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট ও সি আর্ম মেশিনের উদ্বোধন বললেন রাজ্যের আইন বিচার বিভাগীয় ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং বর্ধমান দুর্গাপুরের সাংসদ কীর্তি আজাদ। দুর্গাপুরে রয়েছে একাধিক ছোট বড় কল কারখানা। রয়েছে হাজার হাজার শ্রমিক। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় শ্রমিকদের। এতদিন ইএসআই হাসপাতালে ছিল না কোন ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট। সেই জন্য দুর্ঘটনার কবলে পড়লে শ্রমিকদের রেফার করা হতো বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে। এবার ইএসআই হাসপাতালেই অস্ত্রপ্রচারের সময় সি-আর্ম মেশিনের মাধ্যমে দ্রুত আঘাতের জায়গা চিহ্নিত করে কম সময়ে অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হবে। ২০বেডের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের উদ্বোধন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক, সাংসদ কীর্তি আজাদের পাশাপশি প্রশাসক মন্ডলের চেয়ারপার্সেন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়, প্রশাসক মন্ডলীর ভাইস চেয়ারম্যান অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য দীপঙ্কর লাহা, প্রাক্তন মেয়র পারিষদ সদস্য প্রভাত চট্টোপাধ্যায়, হাসপাতালের সুপার দীপাঞ্জন বক্সি সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন,"এ রাজ্যে যা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল বেড়েছে সারা দেশের অন্য কোনো রাজ্যে নেই। রাজ্যের প্রতিটি মানুষের কথা ভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। সেই জন্য প্রতিবছর ভারত সরকার ৫০ কোটি টাকা করে ইন্সেন্টিভ দেয়।"