নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকার দাবিতে কেন্দ্রের সাথে রাজ্য সরকারের বিবাদ লেগেই আছে। এবার তাই নিয়ে মালদা উত্তরের বিজেপির সাংসদ খগেন মুর্মুকে হুঁশিয়ারি দিলেন মালদা জেলা তৃণমূলের সভাপতি ও বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী। তার কথায় '' ১০০ দিনের টাকা না দেওয়া পর্যন্ত খগেন মুর্মুকে আর রতুয়ার বুকে ঢুকতে দেব না। "
আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, " বন্ধু খগেন মুর্মু জেনে রাখুন, বিজেপির বন্ধুরা জেনে রাখুন, আপনার বিজেপির বাড়ির মানুষরাও ১০০ দিনের কাজ করেছেন। সিপিএম-কংগ্রেসের বাড়ির মানুষরাও ১০০ দিনের কাজ করেছেন। ১০০ দিনের টাকা না দেওয়া পর্যন্ত খগেন মুর্মুকে আর রতুয়ার বুকে ঢুকতে দেব না। ১০০ দিনের টাকা না দেওয়া পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপি কর্মীদের কোনও আন্দোলন করতে দেবেন না তৃণমূল কর্মীরা। "
তবে এর পাল্টা জবাব দিয়েছেন সাংসদ খগেন মুর্মু। তিনি বলেন, "ওই টাকা তো সমস্ত রহিম বক্সীর পকেটে গেছে। তাঁর দলের সমস্ত লোকের কাছে গেছে। এই টাকাগুলো ওঁদের পকেটে ঘুরছে। মানুষ তো পায়নি। গরিব মানুষের টাকা তৃণমূল কংগ্রেসের পকেটে গেছে। তার হিসাবও দিতে পারছে না। কেন্দ্রীয় সরকার হিসাব চাইছে। তুমি টাকা পেয়েছ, টাকার হিসাব দাও। অ্যাডজাস্টমেন্ট দিতে পারছে না। তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত টাকা তার পকেটে নিয়েছে। অর্থাৎ, রহিম বক্সী-সহ এই টাকা তৃণমূল কংগ্রেসের পকেটে ঘুরছে। এঁরা এই টাকা নিয়ে বাড়ি-গাড়ি করছেন। কোটি কোটি টাকার এঁরা হিসাব দিতে পারছেন না। উনি বলছেন আমায় রতুয়ায় যেতে দেওয়া হবে না। রতুয়া কি তৃণমূল কংগ্রেসের বাপের সম্পত্তি ? "
এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় গতকাল এক জনসভায় বলেছেন, '' ১০০ দিনের কাজের টাকা দেয়নি। বাংলার আবাস যোজনার টাকা দেয়নি। '' সঙ্গে তিনি এও বার্তা দিয়েছেন যে, '' কাল আমি মরে গেলে দেখবেন যারা আমার নামে গালি দেয় তারা প্রথম মালা নিয়ে ঢুকবে একটাকেও ঢুকতে দেবে না। আমি বলে গেলাম। আমি নিজের নামে কিচ্ছু করিনি। স্টেডিয়ামও করিনি। ''
তার আরও বক্তব্য, '' আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে এক টাকাও নিই না। আমি কেন্দ্রের মন্ত্রী ছিলাম, সেখান থেকে পেনশন নিই না। আমি সাংসদ হিসাবেও পেনশনের টাকা নিই না। আমার যা রোজগার তা ওই বই বিক্রি করে রয়ালটি থেকে যা পাই। যদি সব কিছু নিতাম তাহলে আমার তো এখন ৪০/৫০ কোটি টাকা জমানোর কথা। ''