নিজস্ব সংবাদদাতা: নিয়োগেও রাজনীতির অভিযোগ। এবার খোদ কেন্দ্রীয় সংস্থার সম্প্রসারণের কাজে তৃণমূলের সদস্যদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। কাজ মিলছে না চাকরি হারানো বিজেপি কর্মীদের। এই অভিযোগ জানিয়ে দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশন কারখানার সামনে কর্তৃপক্ষকে ঢুকতে বাধা বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। ভিত্তিহীন অভিযোগ পাল্টা দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।
এবার কেন্দ্রীয় সংস্থা দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশন বা ডিটিপিএস কারখানার সম্প্রসারণের কাজে আমরা ওরার বিভাজন। ভিলেজ কমিটির নাম দিয়ে সংস্থায় ৮০ জন অস্থায়ী কর্মী কাজ করছেন। অভিযোগ তৃণমূলের সদস্যদের এই ভিলেজ কমিটির নামে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে কারখানায়। আর মাত্র ১৯ জন বিজেপি কর্মীর নাম তালিকায় থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ তাঁদেরকে কাজে নিচ্ছে না। বেশ কয়েক মাস ধরে এই কেন্দ্রীয় সংস্থায় নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন চলছে বিএমএস কর্মীদের। এই কেন্দ্রীয় সংস্থার সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে। কেন্দ্র টাকা বরাদ্দ করাতে বন্ধ হতে বসা এই কারখানা অক্সিজেন পায়। দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক বিজেপির, বর্ধমান দুর্গাপুরের সাংসদ বিজেপির, কেন্দ্রের কাছে কারখানার জন্য টাকা বরাদ্দর জন্য আর্জি জানালো বিধায়ক সাংসদ, আর সেখানে বিজেপি আর বিএমএসের কর্মীরা আগে কাজ করা সত্ত্বেও বাদ পড়লো, আর দিব্বি কাজ করছেন তৃণমূলের তৃণমূলের সদস্যরা। আজ দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুইয়ের নেতৃত্বে বিজেপি বিএমএস কর্মী সমর্থকরা ডিটিপিএস কারখানার দুটি গেটের সামনে বিক্ষোভে সামিল হন। কারখানা কর্তৃপক্ষের একাংশকে ঢুকতে বাধা দেন তাঁরা। যতক্ষণ না পর্যন্ত বিজেপি বিএমএস কর্মী সমর্থকদের নিয়োগ না করা হবে ততক্ষণ তাঁরা প্রতিদিন গেটের সামনে এই আন্দোলনে সামিল হবেন । কারখানার কাজ ব্যাহত হলে তার দায় কর্তৃপক্ষ পুলিশ ও প্রশাসনের।
যদিও বিজেপির এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল শ্রমিক নেতৃত্ব, দলের নেতা শ্রমিক নেতা রাজু বুট বলছেন কোনও বঞ্চনা নেই এই ঘটনায়। আগামীকাল থেকে ধারাবাহিক আন্দোলন শুরুর হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে বিজেপি নেতৃত্ব। কারখানা গেট চত্বরে অশান্তি এড়াতে প্রচুর পুলিশ মোতায়ন ছিল বুধবার।