নিজস্ব সংবাদদাতাঃ জানা গিয়েছে, চাকরি দেওয়ার নামে দলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর কাছ থেকে কুড়ি লক্ষ টাকা নগদ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষর বিরুদ্ধে। বারবার বলার পরেও সেই টাকা ফেরত মেলেনি, উল্টে ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর মানসিক অবসাদে গত ১ সেপ্টেম্বর আত্মহত্যা করেছিলেন প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। এই ঘটনার পর অবশেষে গ্রেফতার হয়েছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রে খবর, বাঁকুড়ার দেশড়ার কোয়ালপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান রূপা মণ্ডল ও তাঁর স্বামী ধর্মদাস মণ্ডলের কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। প্রতারিতদের অভিযোগ, দলের প্রভাবশালীদের সঙ্গে ওঠা বসা রয়েছে এই টোপ দিয়ে চাকরি পাইয়ে দেবেন বলেছিলেন সন্দীপ। তার বদলে তাঁকে কুড়ি লক্ষ টাকা দিতে হবে বলে জানায়। টাকা দেওয়ার পরও চাকরি দিতে না পারায় সন্দীপকে টাকা ফেরত দিতে বলে ধর্মদাস। অভিযোগ, সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় টাকা দেওয়া তো দূর, উল্টে হুমকি দিতে শুরু করেন। এরপর মানসিক অবসাদে গত ১ সেপ্টেম্বর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী ধর্মদাস। মৃতের পরিবার সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া ও প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করে। কোতুলপুর থানার পুলিশ তৃণমূল নেতা সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে। ধৃতের বিরুদ্ধে প্রতারণা সহ একাধিক মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ধৃতকে গতকাল বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে পেশ করলে ১৪ দিন তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।