নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের কোমরে বন্দুক ঠেকিয়ে তৃণমূল পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের মনসুকা এক গ্রাম পঞ্চায়েতের খড়কপুর গ্রামে।
জানা যায়, মনসুকা এক গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫৭ নম্বর বুথ খড়কপুর গ্রামের বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য সুভাষ মন্ডল অন্যান্য দিনের মতোই সন্ধ্যার সময় বাড়ির পাশে খেলার মাঠে ঘুরতে যাওয়ার সময় হঠাৎ করে এলাকার তৃণমূল নেতা গঙ্গা কারকসহ কয়েকজন তৃণমূল নেতা তাকে খাসবার তৃণমূলের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ধরে মারধর করে, এবং জোরপূর্বক ঘাটালের বিজেপি বিধায়ককে ফোন করে টাকা চাওয়ার কথা বলে। এমনকি বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যকে একটি কাগজে সই করতে বলে এই মর্মে যে সে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা নিয়েছে। মোবাইলে একটি ভিডিও তোলে যে সে টাকা নিয়েছিল চাকরি দেওয়ার নাম করে। এর আগে অনেকবার বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যকে তৃণমূলে যোগদান করতে বলা হয়েছে এবং ১ লক্ষ টাকা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের। মঙ্গলবার রাতে তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে কিছুটা দূরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে পরিবারের সদস্যরা। বর্তমানে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য ঘাটাল মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসাধীন। গঙ্গা কারকসহ মোট ৬ জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এবং তাদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য সুভাষ মন্ডল।
যদিও বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যকে মারধরের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে ঘাটালের তৃণমূল নেতা বিকাশ কর। তিনি বলেন, 'এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। আমি খোঁজখবর নেব। আমরা ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ডে আছি। ওই অঞ্চলের অঞ্চল বডি ভালো কাজ করছে। অভিযোগ পুলিশ প্রশাসন নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখবে। আমাদের দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতি আদর্শ মেনে চলে। এই ঘটনায় আমাদের দলের কেউ যুক্ত থাকে তার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং পুলিশকে আমি বলব প্রশাসনিকভাবে যাতে সঠিকভাবে বিষয়টি দেখেন। যদি কেউ অপরাধী থাকে, অভিযোগ সত্য হয় পুলিশ প্রশাসন নিশ্চয়ই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে'।
তৃণমূল পরিচালিত মনসুকা এক গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫ টি আসনের মধ্যে, ৪ আসন দখল করে বিজেপি। বাকি ১১ টি আসন দখল করে তৃণমূল। যদিও কিছুদিন আগে বিজেপির এক পঞ্চায়েত সদস্য যোগদান করে তৃণমূলে। বর্তমানে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৫ টি আসনের মধ্যে ১২ টি তৃণমূলের এবং ৩ বিজেপির।