নিজস্ব সংবাদদাতাঃ স্থানীয় এক তরুণীকে নিজের বাড়িতে আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠল সোনামুখীর দাপুটে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এদিন সকালে ছাড়া পেতেই ওই তরুণী পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে সোনামুখী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের কিছুক্ষণের মধ্যে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে সোনামুখী থানার পুলিশ। এমন মারাত্মক অভিযোগ সামনে আসতেই অস্বস্তিতে পড়ে ওই নেতাকে সংগঠনের পদ থেকে সরানোর পাশাপাশি দল থেকেও সাসপেন্ডও করেছে ঘাসফুল শিবির।
জানা গিয়েছে, এলাকায় রীতিমতো দাপট ছিল ওই তৃণমূল নেতার। অভিযোগ, ওই নেতাই গত কয়েকদিন আগে স্থানীয় পূর্ব পরিচিত এক তরুণীকে নিজের ঘরে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এদিন ওই তরুণী কোনোক্রমে তৃণমূল নেতার কবল থেকে মুক্ত হতে সক্ষম হয়। তারপরই পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে সোজা চলে যায় সোনামুখী থানায়। দায়ের হয় লিখিত অভিযোগ।
অভিযোগ পেতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। দ্রুততার সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। দলের প্রভাবশালী ওই নেতার বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, অভিযুক্তকে যাবতীয় পদ থেকেও সরানোর জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই এলাকায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির দাবি, তৃনমূল নেতৃত্বের একটা বড় অংশ এমন ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। আপাতত লোক দেখাতে অভিযুক্তকে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। কিন্তু আবার দু’সপ্তাহ পরে ওই অভিযুক্তই দলের পতাকা নিয়ে ঘুরবেন।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল গোটা দেশ-বাংলা।