হরি ঘোষ, জামুড়িয়া: পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা জামুড়িয়ায় ডোবরানা পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশের। পঞ্চায়েতে জেতা প্রার্থীদের মারধর ও আটকে রাখার অভিযোগ ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে। পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য শিলা গড়াইয়ের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার জামুড়িয়া ২ নম্বর তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতির।
তৃণমূলের কংগ্রেসের প্রতীকে জেতা প্রার্থী শিলা গড়াই অভিযোগ করেন যে তাঁদের একজন প্রার্থীকে মারধর করে পঞ্চায়েত অফিস থেকে বের করে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি সিদ্ধার্থ রানা ও তাঁর দলবল। তাছাড়াও আরো ২ জন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে জোর করে সই করতে চাপ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন শিলা দেবী।
প্রসঙ্গত, জামুড়িয়ার ডোবরানা গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ৮। একটি নির্দল প্রার্থী জিতলেও বাকি ৭টি আসন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে জিতে আসে প্রার্থীরা। এইবার পঞ্চায়েতের প্রধান আসনটি সাধারণ জাতির জন্য নির্দিষ্ট করে নির্বাচন কমিশন। সেইমতো তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ দাবী করেন যে যেহেতু প্রধান জেনারেল কাস্ট থেকে হতে পারে সেই জন্য একমাত্র জেনারেল কাস্ট বিজয়ী প্রার্থী শিলা গড়াইকে প্রধান করা হোক। কিন্তু দলের আরেকটি অংশ এই প্রধানের আসনে প্রমিলা কোলেকে বসানোর প্রস্তাব দেয়। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর, দলীয় আলোচনাতে ঠিক করা হয় ভোটাভুটি করে যে জিতবেন তাঁকেই পদ প্রদান করা হবে। কিন্তু গতকাল রাত থেকে বিজয়ী প্রার্থীদের ধমকি, মারধর এমনকি অপহরণের অভিযোগ তুলতে থাকে তৃণমূলের একাংশ। গোটা বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি জামুড়িয়া ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সিদ্ধার্থ রানা।