নিজস্ব সংবাদদাতা: বিধান নগর পুরো কর্পোরেশনের ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তীর তল্লাশিতে আলিপুরদুয়ার চিলাপাতার এক বিলাসবহুল রিসোর্টে বিধান নগর কমিশনারেট পুলিশের বিশেষ দল অভিযান চালাল। বুধবার বিধান নগর কমিশনারের পুলিশের একটি বিশেষ দল এসে পৌঁছয় আলিপুরদুয়ারের চিলাপাতার উট বার্ন রিসোর্ট নামের এক বিলাসবহুল রিসর্টে। সেখানে তিনটি রিসোর্টের প্রায় কুড়িটি রুমে তল্লাশি চালান তিন সদস্যের এই পুলিশের দল।
প্রায় দু’ঘন্টা ধরে চলে তল্লাশি অভিযান। কথা বলেন প্রত্যেকটি স্টাফ কর্মচারীর সাথে। খতিয়ে দেখা হয় রিসোর্ট এর রেজিস্টারও। অবশেষে খালি হাতেই এখান থেকে বেরিয়ে যান বিধান নগর কমিশনারেট পুলিশের দল। অভিযোগ এই রিসোর্টেরই একপ্রকার মালিক সমরেশ চক্রবর্তী। এই রিসোর্টে হাইড আউট হয়ে থাকতে পারে বলে অভিযোগেই আজ বিধান নগর কমিশনার পুলিশের দল তল্লাশিতে আসে এখানে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই রিসোর্ট এর ক্ষেত্রেও কিন্তু বেশ কিছু গরমিল রয়েছে। সাড়ে চার বিঘার জমির উপরে তৈরি এই বিলাসবহুল রিসোর্ট এর জমির মালিক স্থানীয় তাপস চিক বড়াইকের অভিযোগ, আজ থেকে পাঁচ বছর আগে মাত্র পনেরো হাজার টাকা বিঘা প্রতিদ্বরে তার কাছ থেকে এই জমি কেনা হয়েছিল। ভয় দেখিয়ে বেআইনিভাবে এই জমি কিনে নেন ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি বলে একটি সংস্থা। পরবর্তীতে সেই সোসাইটির থেকে কিনে নেন আরিয়ান্স অ্যান্ড গ্রুপ বলে একটি কোম্পানি।
জানা যায় সেই আরিয়ান্স অ্যান্ড গ্রুপেরই একপ্রকার মালিক সমরেশ চক্রবর্তী। প্রশ্ন উঠছে কি করে এদেশের আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে একজন আদিবাসী মানুষের থেকে জমি কিনতে পারে কেউ। তাহলে কি সমরেশ চক্রবর্তীর পিছনে রয়েছে বড় কোনও মাথা? প্রশ্নটা জোরালো হচ্ছে ।