গ্রাম পঞ্চায়েতের লাগানো গাছ কেটে পাচারে জুড়লেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি! আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারী বিজেপির

গ্রাম পঞ্চায়েতের লাগানো সরকারি গাছ কেটে পাচারে নাম জড়াল তৃণমূলের বুথ সভাপতির। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস তৃণমুল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
cover (19)

নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: তৃণমূলের বুথ সভাপতি বিভাষ কুন্ডুর নাম গ্রাম পঞ্চায়েতের লাগানো সরকারি গাছ কেটে পাচারের সঙ্গে জড়িয়েছে। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের লক্ষীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিষ্ণুদাসপুর গ্রামের। বিষ্ণুদাসপুরে একটি সরকারি জায়গায় লক্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো ছিল। অভিযোগ উঠেছে বন দফতরের অনুমতি ছাড়াই এমনকি গ্রাম পঞ্চায়েতের অগোচরে সেই গাছগুলির অধিকাংশই কেটে পাচার করা হয়েছে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে একাধিক বার জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়ে বেআইনি গাছ কেটে পাচার নিয়ে কড়া ধমক দেন জেলা প্রশাসন থেকে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের। এমনকি এতে শাসকদলের নেতাদের নাম জড়ানো নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়ে প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন বেআইনি গাছ কাটা ও পাচারে জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। কিন্তু রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান ও পাশাপাশি তৃণমূল সুপ্রিমোর এহেন কড়া ধমকেও বেআইনি গাছ কাটা ও পাচারে রাশ টানতে ব্যর্থ স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বন দফতর ও প্রশাসন। চন্দ্রকোনার লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিষ্ণুদাসপুর গ্রামে সরকারি গাছ কেটে পাচারে শাসকদলের বুথ সভাপতির নাম জড়ানোয় শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী থেকে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের একে অপরের বিরুদ্ধে দায় ঠেলার কাজ।

এই বিষয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা সুশীল চৌধূরী তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। দাবি, বিষ্ণুদাসপুর গ্রামে তৃণমুলের বুথ সভাপতি বিভাস কুন্ডু এই সরকারি গাছ কাটার সাথে যুক্ত। তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি নেতা।যদিও দলের বুথ সভাপতির নাম জড়ানোয় অস্বস্তিতে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। লক্ষ্মীপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মফু সরকার এই প্রসঙ্গে জানান, 'বিষয়টি আপনাদের থেকেই শুনলাম, জানা ছিল না।তবে দলের কেউ জড়িত থাকলে দল তার পাশে থাকবে না।গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে বলব তদন্ত করে খতিয়ে দেখতে'। যদিও লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উমা হাজরা অবশ্য জানিয়েছেন, 'গাছ কাটার বিষয়টি জানার পর আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। যারা দোষী তাদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে'। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সরকারি জায়গায় গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে লাগানো প্রমাণ সাইজের গাছ কেটে পাচার হচ্ছে তা নিয়ে শাসকদলের নেতা থেকে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত কারও গোচরে আসলো না কেন? নাকি সবাই সব জেনেই চুপ ছিল? যার বিরুদ্ধে গাছ কেটে পাচারের অভিযোগ উঠেছে সেই তৃণমূলের বুথ সভাপতির কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এখন দেখার সরকারি গাছ কেটে পাচারে অভিযোগে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।