" সুজয়কে ফেরত দেওয়ার পালা " বললেন তৃণমূল নেত্রী জুন মালিয়া

বড় দাবী তৃণমূল নেত্রীর।

author-image
Adrita
New Update
দ

নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুরঃ মেদিনীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচারে একই মঞ্চে জুন মালিয়া এবং তৃণমূল প্রার্থী সুজয় হাজরা। আর সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে সাংসদ জুন মালিয়া বললেন, "এবার সুজয়কে ফেরত দেওয়ার পালা।" কি ফেরত দিতে চাইছেন তিনি? গত লোকসভা নির্বাচনের আগে জুন মালিয়া এবং সুজয় হাজরার সম্পর্কে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল। খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে পর্যন্ত বলতে হয়েছিল, জুনের সঙ্গে যেন সুজয় ভালো সম্পর্ক রাখে।

২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর বিধানসভায় তৃণমূলের প্রার্থী হন জুন মালিয়া। তাঁকে জেতাতে জোর লড়াই করে সুজয় হাজরা। তারপর জেলা সভাপতি হিসাবে সুজয় হাজরাকে দায়িত্ব দেয় দল। তখন থেকেই জুন মালিয়া এবং সুজয় হাজরার মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দলের জল্পনা তৈরি হয়েছিল। গত লোকসভা ভোটের আগে তা মেটাতে একাধিকবার রাজ্য নেতৃত্ব বৈঠক করেছে বলে সূত্রের খবর। জুন মালিয়ার হয়ে লোকসভা ভোটেও জোরদার প্রচার করেন সুজয়। সাংসদ হিসেবে জয়ী হন জুন মালিয়া। ফলে ছেড়ে যাওয়া বিধায়কের আসনে উপনির্বাচন ১৩ নভেম্বর। সোমবার থেকে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচার শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল প্রার্থী সুজয় হাজরা। মঙ্গলবার বিজয়া সম্মিলনী উপলক্ষে মেদিনীপুর সদরের কঙ্কাবতীতে হাজির হয়েছিলেন মেদিনীপুর লোকসভার সাংসদ জুন মালিয়া, বিধায়ক দীনেন রায়, তৃণমূল প্রার্থী সুজয় হাজরা, যুবনেতা সন্দীপ সিংহ।

বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে কনকাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতের তিনজন নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য এবং একজন পঞ্চায়েত সমিতির নির্দল প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দেন। এদিন জুন মালিয়া বলেন, " সুজয়কে আমার অনেক অভিনন্দন রইল। সুজয় আমার ইলেকশনের সময় অনেক করেছে। এবার আমার ওকে ফেরত দেওয়ার পালা। রেকর্ড ভোটে ওকে জয়ী করে আনব আমরা। " 

পাশাপাশি আরজিকর ইস্যুতে আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, " এতদিন বলিনি। এটা আমি বলতে চাই যে, এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন বলে ৭২ দিন ধরে আন্দোলন এবং অনশন চলেছে। অন্য রাজ্যে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আন্দোলন করতে দেওয়া হয়নি। আমাদের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী, মানবিক মুখ্যমন্ত্রী বলে ডাক্তারদের সঙ্গে বার বার কথা বলে একটা সমাধান করেছেন। " সুজয় হাজরা বলেন, " আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কোন বিভাজন করেননি। কে কংগ্রেস, কে বিজেপি, কে সিপিএম, কে তৃণমূল কোন বিভাজন করেননি। সবার জন্য পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছেন। তার হাত শক্ত করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। "

i