নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং ব্লকের ৪ নং দশগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের কোলন্দা এলাকার বাসিন্দা দেবাঞ্জন ভুঁইয়া বর্তমানে সবংয়ের বিলকুয়া হাইস্কুলের দশম শ্রেনীর পড়ুয়া। মাঝে আর কদিন আর তারপর মাধ্যমিক দেবে সে। কিন্তু তাতেও কি নিস্তার আছে দেবাঞ্জনের? প্রতিদিনের কাজ তাকে করতেই হয়। নাহলে সংসার চলবে কী করে? তাই মাধ্যমিক থাক আর যাই থাক পেপার তাকে বিক্রি করতেই হবে। হ্যাঁ প্রতিদিন সকালে কোলন্দার এই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সকালে বাড়ি বাড়ি পেপার বিক্রি করে। আর তাতে যা আয় হয় সেই দিয়েই চলে সংসার। তাই প্রতিদিন সকালে পেপার বিক্রি, তারপর বাড়িতে পড়াশুনো আর তারপরেই স্কুল। সেরকম ভালো ভাবে টিউশান পড়ার অর্থটুকুও নেই। কারন পুরো সংসার তার হাতে। বাড়িতে বাবা, মা, বোন আছে। এই ভাবেই বছরের পর বছর কাটিয়ে আসছে দেবাঞ্জন। একটি দুর্ঘটনার পর বাবা চোখে দেখতে পান না। তার প্রতিবন্ধী ভাতা এবং মায়ের লক্ষীর ভান্ডারের টাকা কিছুটা হলেও সংসারের উপকারে লাগে।
মাধ্যমিকের পর আগামী দিনে সায়েন্স নিয়ে পড়তে চায় এই অভাবী দেবাঞ্জন। বর্তমানে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন দশগ্রাম হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক যুগল প্রধান। ভালো রেজাল্ট করতে চায় দেবাঞ্জন। কিন্তু অভাব কিছুতেই তার পেছন ছাড়ে না। এই অবস্থায় দেবাঞ্জন কীভাবে তার পরিবার এবং নিজের স্বপ্নকে সফল করবে?