নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ পুলিশের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের জুনিয়ার ডাক্তারের। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, রাজ্য রাজনীতি আজ আরজি করের ঘটনার জন্য উত্তাল হয়ে উঠেছে। এই ঘটনায় কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে পুলিশকে। তবে এবার ঝাড়গ্রামে পুলিশের এক অন্য রূপ ধরা পড়ল।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, ঝাড়গ্রামের ফাঁসিতলা এলাকায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আহত আট জন, পুলিশের চেষ্টায় প্রাণ বাঁচলো এক জুনিয়ার ডাক্তারের। বুধবার রাত্রি প্রায় ৯ টার সময় ঝাড়গ্রামের ফাঁসিতলা এলাকায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
ওই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে দুটি প্রাইভেট গাড়ির আট জন। তাদের মধ্যে তিন জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত তিন জন একই পরিবারের। বাকি আর একটি গাড়ির আহতদের মহনপুর গ্রামিন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে নিয়ে জাওয়া হয়।ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতরা হলেন জুনিয়ার ডাঃ সৃষ্টি এক্কা (বয়স ৩০ বছর), আশা এক্কা (বয়স ২৬ বছর) ও কমলাবতী এক্কা (বয়স ৬২ বছর)। বাকি আহত ৫ জনের আঘাত গুরুতর না হওয়ায় তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে সৃষ্টি এক্কা হলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তার। তিনি গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আর এখানেই দেখা গেল এক অন্য ছবি। দেখা গিয়েছে যে, হাতে স্যালাইনের বোতল ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে এক মহিলা পুলিশ কর্মী।
সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে যে, মেদিনীপুর থেকে একটি পরিবার ও আরেকটি গাড়িতে তাদের আত্মীয়রা ফিরছিলেন। ছত্রিশগড় যাওয়ার পথে ঝাড়গ্রাম ফাঁসিতলা এলাকায় একটি প্রাইভেট গাড়ির পিছনে আরএকটি প্রাইভেট গাড়ি ধাক্কা মারে। ওই প্রাইভেট গাড়ির পিছনে একটি ট্রাক ধাক্কা মারে। যার ফলে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
প্রথম প্রাইভেট গাড়িতে থাকা চার জনের মধ্যে তিন জন গুরুতর আহত হয়েছে। সেই প্রাইভেট গাড়িটির ভেঙে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। ওই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করছে পুলিশ।