কয়েক সপ্তাহ ধরে স্যালাইন মিলছে না সরকারি হাসপাতালে। বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে স্যালাইন। চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে স্যালাইনের অভাব। এখনও পদক্ষেপ নেই! রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে।
দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : সরকারি হাসপাতালে অমিল স্যালাইন, রোগীবাঁচাতে রোগীর পরিজনদের দোকান থেকে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে স্যালাইন,এমনই ছবি ধরা পড়লো চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে। সরকারি হাসপাতালে অমিল স্যালাইন,তাই বাধ্য হয়েই হাসপাতাল চত্বরের বাইরে থাকা ওষুধ দোকান থেকে চড়াদামে কিনতে হচ্ছে স্যালাইন।এমনি ছবি ধরা পড়লো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে।এই গ্রামীন হাসপাতাল প্রতিদিন চিকিৎসার জন্য আসে শয়ে শয়ে রোগীরা।কিন্তু টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে অমিল রয়েছে স্যালাইন পরিষেবা। জরুরী বিভাগে থাকা চিকিৎসকরা রোগীর প্রয়োজন মতো রোগীর পরিজনদের লিখে দিচ্ছেন স্যালাইনের কথা। রোগী বাঁচাতে দোকানে ছুটছেন রোগীর পরিজনেরা।চড়া দামে দোকান থেকে স্যালাইন কিনে আনছে তারা,সেই স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে রোগীদের,আর এতেই ক্ষুব্ধ রোগীর পরিজনেরা। পাশাপাশি চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও তার পরিজনদের অভিযোগ সরকারি হাসপাতালে পাওয়ার কথা স্যালাইন সেই স্যালাইন কিনা কিনে আনতে হচ্ছে বাইরে দোকান থেকে।৬০ শয্যা বিশিষ্ট চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতাল,চন্দ্রকোনা ছাড়াও আশপাশের গড়বেতা,কেশপুর সংলগ্ন এলাকার মানুষের ভরসা এই গ্রামীন হাসপাতাল।সরকারি হাসপাতাল হওয়া সত্বেও কেনো মিলবেনা স্যালাইন?প্রশ্ন তুলছেন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর পরিজনরা।এবিষয়ে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ ডঃ স্বপ্ননীল মিস্ত্রি জানান,পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্যান্য হাসপাতালের মতোই আমাদের হাসপাতালে স্যালাইনের ঘাটতি রয়েছে।আগের লটে যে স্যালাইন এসেছিল তাতে ডিসপুট থাকায় ল্যাবে পাঠানো হয়েছে,রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ওই স্যালাইন ব্যবহার করা যাচ্ছেনা।যে স্যালাইন স্টকে আছে তার রিপোর্ট আসলেই আমরা তা দিয়ে কাজ চালাতে পারবো।সেজন্য বাধ্য হয়ে এখন রোগীদের বাইরে থেকে স্যালাইন আনতে হচ্ছে।আমরা আপাতত একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাইরে দুটো দোকানের সাথে কথা হয়েছে যাতে রোগীদের স্যালাইন স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডে মিলে।"এখন দেখার কবে স্যালাইনের ঘাটতি মেটে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে।