নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ প্রেমের পরিণতি নেই বুঝেই একসাথে মৃত্যুকে বেছে নিলো প্রেমিক যুগল। ঝাড়গ্রামের ১নং ওয়ার্ড শিরীষচক এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে যুগলের মৃতদেহ। জানা গিয়েছে ঘরের অ্যাসবেস্টাস ভেঙে ঘরে ঢোকে পুলিশ। ভেতরে বিছানয় তখন মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে অপর্ণার সাউয়ের মৃতদেহ। মুখ থেকে বের হচ্ছে ফেনা। আর তারপাশেই সিলিং থেকে ঝুলছে পিন্টু ঘড়োই এর দেহ। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের জানা যায় প্রেমে পরিণতি নেই বুঝেই একসাথে মৃত্যুকে বেছে নিয়েছিল দুজন। জানা যায়, পিন্টু ঘড়োই এবং অপর্ণা সাউ সম্পর্কে জামাই এবং বৌদি। স্থানীয় সূত্রের খবর, পিন্টুর বাড়ি কলকাতায়। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর পর সে কাজের খোঁজে ঝাড়গ্রামে চলে আসে এবং সেখানেই ড্রাইভারির কাজ শুরু করে। বাড়ি ভাড়া নেয় শ্বশুরবাড়ির অদুরে শিরীষচক এলাকায়। পাশেই রাধানগর এলাকায় শ্বশুর বাড়ি হওয়ায় শালার বৌ অপর্ণার সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।
জানা গিয়েছে, মাঝে মাঝেই পিন্টুর বাড়িতে আসা যাওয়া শুরু করে অপর্ণা। এই বিষয়টা জানাজানি হওয়ায় পিন্টুর বাড়িওয়ালা অপর্নাকে বাড়িতে আসতে মানা করে দেয়। তবে গতকাল বাড়িওয়ালা বাড়িতে না থাকায়, পিন্টু অপর্নাকে বাড়িতে ডেকে নেয়। তারপরেই এই চরম সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে, আজ সকাল হওয়ার পরে বেলা বাড়লে পিন্টু বাড়ির দরজা না খোলায়, তাকে ডাকাডাকি করে সাড়া পায়নি স্থানীয়রা। ঘরে ঢুকে দুজনের দেহ দেখতে পায় তারা। খবর দেওয়া হয় ঝাড়গ্রাম থানায়। পুলিশ ক্ষতিয়ে দেখছে যে এই ঘটনার পেছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা। পুজোর আগে এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায় নেমে এসেছে।