নিজস্ব সংবাদদাতা: বেআইনিভাবে বালি ও মাটি কেটে পাচারের অভিযোগ উঠল বালি ও মাটি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে।প্রশাসনের উপর আস্থা হারিয়ে গ্রামের মানুষজন বালি ও মাটি বোঝাই গাড়ি আটকে রাখল। বালি ও মাটি মাফিয়াদের সাফাই- প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই তারা কাজ করছে। কিন্তু কোন অনুমতি পত্র দেখাতে পারেনি তারা। তাদের আরও দাবি বিডিও পারমিশন দিয়েছে।
এমনই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলসর গ্রামের। এ মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ গ্রামের মানুষজনেরা মাটি ও বালি বোঝাই ট্রাক্টর আটকে রাখে। গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, বন্যা কবলিত নিচু এলাকা বেলসর ও মোহনচক গ্রাম। আর এখান থেকেই প্রতিনিয়ত বালি ও মাটি মাফিয়ারা কখনও মাঠ থেকে কৃষি জমির মাটি কেটে কখনও বা এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ কাটান খালের বাঁধের বালি কেটে পাচার করছে। অন্যত্র সেই বালি বা মাটি বিক্রি করা হচ্ছে চড়া দামে। আর এর ফলেই বর্ষাকালে সমস্যায় পড়ে এলাকার বাসিন্দারা। ভেঙে যায় খালের বাঁধ। অভিযোগ প্রশাসনকে এই মাটি ও বালি চুরির কথা বারবার জানানো হলেও প্রশাসন কোন গুরুত্ব দেয়নি। এমনকী প্রশাসনের মদতের অভিযোগ তুললেন তাঁরা। এ বিষয়ে বালি ও মাটি মাফিয়াদের দাবি, তাদের কাছে বৈধ অনুমতি রয়েছে, কিন্তু তা তারা দেখাবে না সংবাদমাধ্যমকে। এমনকী বিডিও থেকে পারমিশন নিয়েছে বলে দাবি করেন তারা। আর গ্রামের মানুষ চাইছে দ্রুত এই মাফিয়া রাজ বন্ধ হোক। তবে যাই হোক এই বিষয়ে মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ মুস্তাক আলি বলেন, মাটি তোলার বিষয়টি শুনেছি। দ্রুত গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকে বিষয়টি দেখা হচ্ছে, প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে মাটি ও বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে।যদিও এই বালি বা মাটি পাচারের বিষয়ে ফোনে ঘাটালের বিডিওর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান,এবিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না এবং এ সংক্রান্ত বিষয়ে অনুমতি অনলাইন করতে হয়, বিডিও অনুমতি দিতে পারে না। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের থেকেই শুনলাম গ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন ঘাটালের বিডিও অভিক বিশ্বাস।