সবজি বিক্রি করছিলেন বিক্রেতারা, আচমকাই পৌরসভা থেকে এসে তুলে নিয়ে যাওয়া হল সবজির ঝুড়ি- মুহূর্তে শোরগোল- হ্যা ঘটনা এই বাংলারই

সবজির ঝুড়ি তুলে নিয়ে গেল পৌরসভা, ভেঙে ফেলল পাকাপোক্ত নির্মাণ।

author-image
Aniket
New Update
c

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাস্তার পাশে সবজি নিয়ে বসেছিলেন ব্যবসায়ীরা। সেই সবজির ঝুড়ি তুলে নিয়ে গেল পৌরসভা। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মেদিনীপুর শহরে। বৃহস্পতিবার শহরের কোতয়ালি থানা ও পৌরসভার রাস্তার পাশে সবজি নিয়ে বসেছিলেন অনেকে। সকালে কোতয়ালি বাজারে সবজির দাম জানতে পরিদর্শনে যান পৌরসভার পৌরপ্রধান সৌমেন খান। সেখান থেকে ফিরে এসে দেখেন রাস্তার পাশে সবজি নিয়ে বসেছেন অনেকেই। রীতিমতো বিরক্ত প্রকাশ করেন তিনি। পৌরসভার আধিকারিক ও কর্মীদের থেকে তিনি জানতে চান, রাস্তার পাশে সবজি নিয়ে বসায় নিষেধ করা হয়েছিল, তারপরও সবজি নিয়ে বসেছে কেনও বিক্রেতারা? তারা বলেন অনেকবার নিষেধ করা হয়েছিল তারপরও বসেছে। এরপরই ওই সবজি বিক্রেতাদের ঝুড়ি তুলে পৌরসভায় নিয়ে চলে যাওয়া হয়। যদিও ওই ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, তাদের কোন সুযোগ না দিয়েই সবজির ঝুড়ি নিয়ে চলে যাওয়া হয়েছে। পৌরপ্রধান সৌমেন খান বলেছেন, "মেদিনীপুর কোতয়ালি বাজারে জায়গা ফাঁকা রয়েছে। সেখানে না বসে রাস্তার পাশেই সবজি নিয়ে বসছে বিক্রেতারা। অনেকবার নিষেধ করা হয়েছে। বাজারের মধ্যে যদি জায়গা না থাকতো তাহলে ভেবে দেখা হতো"। যদিও পরে রাস্তার পাশে না বসার অঙ্গীকার করে সবজির ঝুড়ি ফেরত নিয়ে যায় ব্যবসায়ীরা।

c

অন্যদিকে শহরের মূল নিকাশিনালা ঘিরে পাকাপোক্ত নির্মাণের চেষ্টা করা হচ্ছিল। সেই নির্মাণ ভেঙে ফেলল পৌরসভা। বৃহস্পতিবার শহরের কেরানিতলা এলাকায় দ্বারিবাঁধ নিকাশিনালার উপরে পাকাপোক্তভাবে এক ব্যাক্তি নির্মাণ কাজ করছিলেন। এর আগেও তাকে নিষেধ করা হয়েছিল। তা না শুনে বৃহস্পতিবার লোক সংখ্যা বাড়িয়ে দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা করেন তিনি। খবর পেয়ে পৌরপ্রধান সহ পৌরসভার আধিকারিক ও কর্মীরা অভিযান চালায়। ভেঙে ফেলা হয় ওই অবৈধ নির্মাণ। উল্লেখ্য, এই নিকাশিনালা দিয়েই শহরের বেশিরভাগ জল বাইরে বেরোয়। নালার আয়তন কমে গেলে বর্ষায় জল উঠে আসে রাস্তায়। সৌমেন খান এই বিষয়ে বলেছেন, "অবৈধভাবে নির্মাণ করছিলেন এক ব্যক্তি। এর আগেও তাকে নির্মাণ বন্ধ করার জন্য বলা হয়েছিল। পুনরায় এদিন কাজ শুরু করায় ভেঙে ফেলা হয়েছে"।

Adddd

 . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .