নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুর : এগরা পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি দখলের পরেই বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলো এগরা ২ ব্লক তৃণমূলের সহ সভাপতি রাজকুমার দুয়ারী। শনিবার বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ২ ব্লকের বালিঘাইতে সাংবাদিক সম্মেলন করে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বদের আক্রমণ করলো তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার এগরা ২ ব্লকের বিজেপি দখলে থাকা স্থায়ী সমিতি ভেঙে দেয় তৃণমূল। তারপরেই সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির দাবি, ' অসংবিধানিকভাবে এই স্থায়ী সমিতি ভাঙা হয়েছে, বিষয়টি এখনও হাইকোর্টে বিচারাধিন অবস্থায় রয়েছে। সেই কথার পরিপেক্ষিতে এগরা ২ ব্লক তৃণমূলের সহ সভাপতি রাজকুমার দুয়ারী এদিন বলেন, বিজেপি হতাশায় ভুগছে এই সব কথা বার্তায় তাঁর প্রমান। আইন মেনেই অনাস্থা আনা হয়েছে। সেই অনাস্থার বিরুদ্ধে বিজেপি পেছনের দরজা দিয়ে কোর্টে গিয়ে আটকানোর চেষ্টা করছে। সিঙ্গেল বেঞ্চ ও ডিভিশন বেঞ্চে রায় তাঁদের বিপক্ষে গেছে। আইন যেটাকে বৈধ বলেছে, বিজেপি সেটাকে অবৈধ বলছে। নিশ্চিতভাবে তারা হতাশাগ্রস্থ। অনাস্থায় আমরা উপস্থিত হয়েছি, যদি তাদের সাহস থাকতো তারা মিটিং - এ উপস্থিত হতো। নিয়ম মেনেই স্থায়ী সমিতি গঠন হবে। যারা বিধায়ক সাহেবকে চ্যালেঞ্জ দিয়েছে তাঁদেরকে বলছি বিধায়ক এগরা বিধানসভার বিধায়ক অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। বিজেপি আমাদের বিধায়ককে স্বেতপত্র প্রকাশ করতে বলেছে, আগে তাঁরা বলুক কেন বাংলার মানুষের একশো দিনের কাজের টাকা তাঁরা বন্ধ করেছে! কেন বাংলার রাস্তা ঘাটের টাকা আটকেছে! কিন্তু মমতা ব্যানার্জী বলেছেন বাংলার মানুষের পাশে থেকে সমস্ত কিছু রাজ্য সরকারের টাকায় হবে। নির্বাচনে মাধ্যমে আমাদের প্রার্থী জয়লাভ করেছে। আর কাটমানির টাকায় বিজেপির জেলা পরিষদের সদস্যার স্কুটি কেনার প্রসঙ্গে বলেন, ওই অভিযোগ আমাদের নয়। বিজেপির প্রাক্তন মন্ডল সভাপতির অভিযোগ। বিজেপির জেলা সভাপতি নিজেই নির্বাচনের আগে টাকা সমেত ধরা পড়েছিল। এটা প্রমাণিত ওরাই দুর্নীতিগ্রস্থ। এই এক বছরে এই ব্লককে অনেকটায় পিছিয়ে দিয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। '
এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এগরা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শাহনাজ বেগম, দলের ব্লক তৃণমূল সভাপতি স্বরাজ খাঁড়া, দলের আইএনটিটিইউসি'র জেলা সাধারণ সম্পাদক মির্জা নাসের হোসেন বেগ, ব্লকের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি শেখ রেজাউল হোসেন, দলের মহিলা সভানেত্রী শ্রাবন্তী দাস ও সহ-সভাপতি তাপসী মাইতি, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য কিশোরী দাস, সুধাকান্ত বারিক ও সন্দীপ পাত্র প্রমুখ।