নিজস্ব সংবাদদাতা, কাঁকসাঃ অষ্টমীর রাতে দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে নিজের হাতে গড়েছিলেন মূর্তি। নিজের মন্ত্রেই পুজো শুরু করেছিলেন আদিবাসী যুবক। আজও মূর্তি গড়ার দিন থেকেই ভক্তি, নিষ্ঠা আর শ্রদ্ধার সাথে দেবীর গান, হরিনাম সংকীর্তন আর নিজেদের মন্ত্র উচ্চারণ করা হয়। তাই কাঁকসার হরিকির আদিবাসী ঘরের দুর্গাপুজো একেবারেই ব্যতিক্রমী।
জানা গিয়েছে যে, পাঁচ বছর আগে খেলার ছলে মূর্তি গড়েছিল কাঁকসার মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিকির ছোট্ট আদিবাসী গ্রামে রবীন্দ্রনাথ হাঁসদা নামের এক আদিবাসী যুবক। পুজোও শুরু করেছিলেন।
অষ্টমীর রাতে ওই আদিবাসী যুবক দেবীর স্বপ্নাদেশ পান জাঁকজমক ভাবে পুজো শুরু করার। আদিবাসী পরিবারের দাবি, তারপর পুরোহিত পুজো করতে বসলে পুরোহিতের উপর ভর করেন দেবী। সেই ভয়ে পুরোহিত চলে যায়। তারপরেই নিজের মন্ত্রে পুজো শুরু করেন রবীন্দ্রনাথ হাঁসদা, তাতে দেবী সন্তুষ্ট হন। একসময় পরিবারের কর্তা বলাই হাঁসদাকে সিংহ রূপে দেখা দিয়েছিলেন মা।আবার একসময় পরিবারের মহিলার উপর অশুভ শক্তিও ভর করেছিল। ভবতারিণী রূপে দেখা দিয়ে সেই অশুভ শক্তির বিনাশ করেছিল।
রবীন্দ্রনাথ হাঁসদা বলেন," আমরা মায়ের মূর্তি গড়ার আগে পুজো করি। হরিনাম আর মায়ের গান গাই। মা যেদিন থেকে বাড়িতে এসেছে সেদিন থেকে দুঃখ কষ্ট সব দুর হয়েছে। চারদিন ধরে পুজো করি আমি, আমার দাদা, দিদি আর বাবা। বহু মানুষ আসেন পুজো দেখতে। সুখ সমৃদ্ধিতে ভরেছে পরিবার। "
বলাই হাঁসদা বলেন," মা কখনও সরষে জমিতে সিংহ রূপে কখনও হওয়ার মধ্যে ভেসে এসে ভবতারিণী রূপে। কোনো মন্ত্র নেই মায়ের নির্দেশে আমরা নিজেরাই পুজো করি।অগাধ আস্থা আর মনের ভক্তি ভরে পুজো দেওয়া হলে মা মনের ইচ্ছা পূরণ করেন। "