নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সরকারি হাসপাতালে ছানি অপারেশনের পর চোখের ড্রপ লিখে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ডাক্তার। ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফার্মাসি কাউন্টার থেকে পাওয়া যায় সেই ফ্রি ওষুধও। আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই সরল বিশ্বাসে তা ব্যবহার করেন ঝাড়গ্রাম শহরের শিরিষচক এলাকার বাসিন্দা হাঁসি দাস।
এরপরেই ঘটে বিপত্তি। অভিযোগ, নির্ধারিত চোখের ড্রপের বদলে, দেওয়া হয়েছে বাচ্চাদের পেটের ব্যাথা উপশমের ওষুধ। ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়ে তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। এদিকে লিখিতভাবে দু-দুবার অভিযোগ পত্র কিন্তু জমা দিয়েছেন ভুক্তভোগী প্রৌঢ়া।
জেলা শাসকের দপ্তরে জানিয়েছেন অভিযোগ। তবে স্বাস্থ্য দফতর থেকে এখন কোনও ডাক পাননি। এরই মাঝে চোখের মনিতে ব্যথা বাড়তে থাকায় বেড়েছে দুশ্চিন্তাও। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা বিভ্রাটের নজির মোটেই নতুন নয়। ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের সাম্প্রতিক ঘটনা রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার করুণ ছবিটা আবার সামনে এনেছে।