নিজস্ব সংবাদদাতা: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের একটি মাত্র পিকনিক স্পট। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের ২ নং ভরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন " তিলাপাটনা"পিকনিক স্পট। কিন্তু কাঁসাই নদী দুই ভাবে ভাগ হয়ে গিয়ে একটি দ্বীপ তৈরি হয়েছে। সেখানেই ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে পিকনিকের জন্য পর্যটকের ভিড় হয়। তাই এই জায়গাটি তেমুয়ানী নামেই চেনেন। আজ থেকে ১১ বছর আগে তৎকালীন বিধায়ক রাধাকান্ত মাইতির সময়ে এই এলাকায় একটি পার্ক তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেই সময় বসার সেড, পানীয় জল, শৌচালয়, ফুলের গাছ লাগানো সবই হয়েছিল। কিন্তু সেই সব আজ অতীত। ধীরে ধীরে সময়ের সাথে সাথে সবই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এখন চারিদিকে জঙ্গলে ভর্তি। শৌচালয়ের অবস্থা বেহাল। প্রতিবছর ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে ডেবরা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষজন পিকনিক করতে আসেন। কাঁসাই নদীর পাড়ে পিকনিকের মজা নেয় তারা। কিন্তু সমস্যা হল পানীয় জলের অভাব,মহিলাদের শৌচালয়ের ব্যবস্থা নেই, বসার সেড পর্যন্ত নেই। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে প্রতিবছরই অল্প বিস্তর কিছু কিছু ব্যবস্থা করা হয়,কিন্তু তার পরেই আবার সেই একই অবস্থা। ২ নং ভরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতি, বিধায়ক সবাইয়ের গোচরেই ছিল এই তেমুয়ানী৷ কিন্তু কেউই সেই ভাবে উদ্যোগ নেয়নি।
অপরদিকে এই এলাকায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটি ধর্মীয় স্থানও রয়েছে।পাশাপাশি কাঁসাই নদীকে তাদের 'দামোদর' হিসেবে ব্যবহার করে। সেক্ষেত্রে তারও অবস্থা বেহাল। তাই সব মিলিয়ে তিলাপাটনা পিকনিক স্পট ধুঁকছে। এলাকাবাসীরা ও পর্যটকরা চাইছেন এই পিকনিক স্পটের ওপর নজর দিক প্রশাসন। পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিক তারা। এ বিষয়ে ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বাদল চন্দ্র মন্ডল জানান, আমাদের এই এলাকায় সেরকম পিকনিক স্পট বা পার্ক নেই। আমরাও চাই পার্কটা হোক, কিন্তু কি কি সমস্যা রয়েছে সেই গুলি আমরা খতিয়ে দেখবো। আমরাও চাই ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতি ডেবরাবাসীর জন্য একটি সুন্দর পার্ক গড়ে তুলুক।