ঠান্ডায় খোলা আকাশের নীচে থাকতে হচ্ছে রোগীর পরিবারকে! কারণটা জানলে রেগে যাবেন আপনিও

ঘাটালে ঠান্ডায় খোলা আকাশের নীচে থাকতে হচ্ছে রোগীর পরিবারকে। চার বছর আগে সাংসদ দেবের তহবিল থেকে দুকোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছে নাইট শেল্টার। কিন্তু সেখানে আবর্জনায় ভর্তি।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
2ND COVER.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতা: দেবের সাংসদ তহবিলের টাকা থেকে হাসপাতালে কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হওয়া নাইট শেল্টার নোংরা আবর্জনা হয়ে থাকার কারণে,শীতের রাতে কনকনে ঠান্ডায় হাসপাতাল চত্বরে খোলা আকাশের নীচে মশারি খাটিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে শুয়ে রয়েছেন রোগীর পরিজনরা। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে। হাসপাতাল চত্বরে ঘাটালের সাংসদ অভিনেতা দীপক অধিকারী ওরফে দেবের কোটা থেকে চার বছর আগে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর পরিজনদের রাতে থাকার জন্য প্রায় দু কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছে নাইট শেল্টার যাত্রী নিবাস। কিন্তু সেই ২ কোটি টাকার নাইট শেল্টার যাত্রী নিবাস নোংরা আবর্জনায় ভর্তি হয়ে রয়েছে,এমনকি ইলেকট্রিক বোর্ড ভেঙে হয়ে তার বেরিয়ে আছে, স্বাভাবিকভাবে যার কারণে হাসপাতাল চত্বরে খোলা আকাশের নিচে কনকনে শীতের রাতে মশারি খাটিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে শুয়ে রয়েছে রোগীর পরিজনেরা।তাদের অভিযোগ নাইট শেল্টার যাত্রী নিবাস নোংরা আবর্জনা হয়ে পড়ে রয়েছে,মশার উপদ্রব বাড়ছে। তাই হাসপাতাল চত্বরে আকাশের নিচে রাতে মশারি খাটি শুয়ে রয়েছেন রোগীর পরিজনেরা। হাসপাতালে রোগীর পরিজনদের থাকার নাইট শেল্টারে নোংরা আবর্জনা হয়ে আছে একথা স্বীকার করে নিয়েছেন ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মধ্যক্ষ পঞ্চানন মণ্ডল। তিনি বলেন, আজ থেকে তিন বছর আগে নাইট শেল্টারটি একটি এজেন্সিকে টেন্ডার দেওয়া হয়েছিল কিন্তু কয়েক মাস হল সেই এজেন্সি হাসপাতাল থেকে সরে গেছে যার কারণে সমস্যা হয়েছে।আমি বিষয়টা হাসপাতাল সুপার ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে বলেছি খুব তাড়াতাড়ি নাইট শেল্টারটি পরিষ্কার করে দিয়ে এবং নতুন করে টেন্ডার ইস্যু করে দেওয়ার জন্য।জাঁকিয়ে শীত পড়েছে কনকনে ঠান্ডায় হাসপাতাল চত্বরে খোলা আকাশের নিচে রোগীর পরিজনদের এভাবে রাত্রি যাপনের ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে যেখানে খোদ সাংসদ তহবিলের টাকায় নাইট শেল্টার যাত্রী নিবাস তৈরি হয়েছে তা এভাবে অরক্ষিত অবস্থায় কেন পড়ে?হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ না প্রশাসনের গাফিলতি?গাফিলতি যারই থাকুক কনকনে ঠান্ডায় হাসপাতাল চত্বরের বাইরে রাত্রি যাপন করতে গিয়ে চরম সমস্যায় রোগীর পরিজনেরা।