যান্ত্রিক যুগে এখনও চলছে কাঠের তৈরি ঘানির ব্যবহার

যান্ত্রিক যুগের দ্রুত পরিবর্তনের মধ্যেও চলছে বলদের সাহায্যে নিম ও বাবলা কাঠের তৈরি ঘানি ব্যবহার করে একশ শতাংশ খাঁটি সরষের তেল উৎপাদন করা হচ্ছে।

author-image
Adrita
আপডেট করা হয়েছে
New Update
w

নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ব্লকের পুরুল গ্রাম এলাকার বাসিন্দা ভোলানাথ প্রামাণিক দীর্ঘদিন ধরেই অতীতের ঐতিহ্যবাহী উপায়ে সরষের তেল উৎপাদন করে চলেছেন। যান্ত্রিক যুগের দ্রুত পরিবর্তনের মধ্যেও, তিনি বলদের সাহায্যে নিম ও বাবলা কাঠের তৈরি ঘানি ব্যবহার করে একশ শতাংশ খাঁটি সরষের তেল উৎপাদন করছেন, যা আজকের দিনে বিরল। 

উল্লেখ্য, বাজারে পাওয়া অধিকাংশ তেল বড় বড় কোম্পানিগুলির মেশিন ও রাসায়নিক ব্যবহার করে উৎপাদিত হয়। ভোলানাথের মতে, এই ধরনের প্রক্রিয়াকরণে তেলের গুণমান নষ্ট হয়ে যায় এবং তা মানুষের স্বাস্থ্যেও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তিনি বলেন, “ বাজারের তেলগুলোতে বিভিন্ন রাসায়নিক মিশ্রিত থাকে, যা মানুষ প্রতিদিন ব্যবহার করছে, ফলে তারা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ” ভোলানাথ প্রামাণিক প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ লিটার সরষের তেল উৎপাদন করে থাকেন। তাঁর এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হল মানুষকে ১০০% খাঁটি এবং প্রাকৃতিক উপায়ে প্রস্তুত তেল সরবরাহ করা, যাতে তারা সুস্থ ও নিরোগ জীবন যাপন করতে পারেন।

অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলায় এই প্রথম কেউ এমন পুরোনো দেশীয় পদ্ধতিতে সরষের তেল উৎপাদন করছেন, যা ভোলানাথ প্রামাণিকের এক বিশেষ পরিচিতি তৈরি করেছে। সরষের তেল উৎপাদনের পাশাপাশি, তিনি তাঁর কয়েক কাঠা জমিতে জৈব পদ্ধতিতে ধান, জব ও বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করছেন।

ভোলানাথ প্রামাণিকের এই উদ্যোগ একদিকে যেমন প্রাকৃতিক কৃষি ও উৎপাদনের গুরুত্বকে তুলে ধরছে, অন্যদিকে মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য এক আদর্শ দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। তাঁর চেষ্টায় আজ সেই পুরনো দিনের খাঁটি সরষের তেলের স্বাদ ও গুণাগুণ ফিরে আসছে মেদিনীপুরের মাটিতে