নিজস্ব সংবাদদাতা : শনি দেবের সাড়েসাতি এবং দইয়া জ্যোতিষশাস্ত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি পরিস্থিতি, যা মানুষের জীবনে এক বিশেষ প্রভাব ফেলে। যদিও এই দুইয়ের মধ্যে কিছু মিল রয়েছে, তবে তাদের প্রভাব এবং সময়কাল একেবারে আলাদা।
শনি সাড়েসাতি তখন ঘটে যখন শনি ১২তম ভাগে অবস্থান করেন, তারপর ১ম ভাগে চলে আসেন এবং শেষ পর্যন্ত ২য় ভাগে চলে যান। এটি প্রায় ৭.৫ বছর স্থায়ী হতে পারে এবং এই সময়কালটি মানুষের জীবনে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যেমন শারীরিক দুর্বলতা, আর্থিক সংকট, পারিবারিক অশান্তি ইত্যাদি। শনি সাড়েসাতি সাধারণত দীর্ঘ সময়কালীন এবং এর প্রভাব বেশ গুরুতর হয়।
অন্যদিকে, শনি দইয়া তখন শুরু হয় যখন শনি ৪র্থ বা ৮ম ভাগে অবস্থান করেন। এটি সাধারণত ২.৫ বছর স্থায়ী হয় এবং জীবনে কিছু সমস্যা সৃষ্টি করে, যেমন আর্থিক বিপদ, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত বাধা বা স্বাস্থ্য সমস্যা। তবে এর প্রভাব শনি সাড়েসাতির তুলনায় কম গুরুতর এবং এটি দ্রুত শেষ হয়ে যায়।
শনি সাড়েসাতি ও দইয়ার মধ্যে মূল পার্থক্য হল সময়কাল এবং প্রভাবের তীব্রতা। শনি সাড়েসাতি প্রায় ৭.৫ বছর স্থায়ী এবং তার প্রভাব তুলনামূলকভাবে গুরুতর হয়, যেখানে শনি দইয়া ২.৫ বছর পরই শেষ হয়ে যায় এবং এর প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম।
যদি কোনও ব্যক্তির উপর শনি সাড়েসাতি বা দইয়া চলছে, তবে কিছু প্রতিকার অনুসরণ করা যেতে পারে। প্রতি শনিবার হনুমানজির পুজা এবং হনুমান চালিসা পাঠ করা, শনি মন্দিরে গিয়ে কালো তিল এবং বস্ত্র দান করা, শনি মন্ত্রের জপ করা এবং শান্ত মন নিয়ে শিবের আরাধনা করা এগুলো অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে। এইসব উপায় অনুসরণ করলে শনি সাড়েসাতি ও দইয়ার প্রভাব থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া সম্ভব।