রাজ্যের অনুমতি ছাড়াই জোর করে টোল আদায়, নগর নিগমের 'জুলুম' বন্ধ করলো হাইকোর্ট

জুলুম' বন্ধ করলো হাইকোর্ট।

author-image
Adrita
New Update
া

নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ রাজ্যের অনুমতি ছাড়াই জোর করে টোল আদায়, নগর নিগমের 'জুলুম' বন্ধ করলো হাইকোর্ট। রাজ্যকে না জানিয়ে নগর নিগমের দুর্নীতি চলছেই কটাক্ষে বিরোধীরা। কোনো দুর্নীতিই হয়নি পাল্টা নগর নিগম। দুর্গাপুর নগর নিগমের লেনিন সরণী, কাঞ্জিলাল এভিনিউ, বনফুল সরণি, নাচন, হ্যানিম্যান সরণিতে রয়েছে দুর্গাপুর নগর নিগমের ৭টি টোল। সেই টোলগুলি থেকে কারখানার পণ্যবাহী গাড়ির টোল নেওয়া হত।

দুর্গাপুরের ক্ষুদ্র শিল্পপতিরা দুর্গাপুর নগর নিগমের কাছে আবেদন করেছিলেন ১২ টনের নিচে পণ্যবাহী গাড়িতে যাতে টোল নেওয়া না হয়। কিন্তু সেই আবেদনে কোন সাড়া দেয়নি নগর নিগম। তারপরেই দুর্গাপুরের ক্ষুদ্র শিল্পপতি রতন আগরওয়াল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের বিনা অনুমতিতে দুর্গাপুর নগর নিগম টোল আদায় করছে বলে মামলা করেন। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি একটি বিজ্ঞপ্তিতে দুর্গাপুর নগর নিগমের অধীনস্থ যতগুলি টোল আছে সব কটি বন্ধ করার নির্দেশ দেন। তারপরেই বুধবার সকাল থেকে সব টোল বন্ধ করল দুর্গাপুর নগর নিগম।

দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসক মন্ডলী শুধু অপদার্থই নয়, দুর্নীতিগ্রস্ত বলে কটাক্ষ করে বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন," রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের অনুমতি ছাড়াই টোল আদায় চলছে। ১৯৯৭ সাল থেকে দুর্গাপুর নগর নিগমে বোর্ড গঠন হওয়ার পর বাম আমল থেকে একইভাবে তৃণমূল আমল পর্যন্ত এই দুর্নীতি চলে আসছে। এই তোল যে সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত, অবৈধ তা মহামান্য হাইকোর্ট পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন। "

কোন দুর্নীতি হয়নি পাল্টা প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেন,সরকারি অনুমতি নেওয়ার কথা ছিল সেটা নেওয়া হয়নি। তবে আমি তো কিছুদিন যাবত এসেছি। কিন্তু এইভাবে টোল আদায় দীর্ঘদিন ধরেই হয়ে আসছে। সরকারি যা নিয়ম আছে সেগুলো জানার জন্য আমরা ইতিমধ্যেই কলকাতায় গিয়েছিলাম। যা যা নিয়ম আছে সমস্ত নিয়ম মানা হবে। তবে সম্প্রতি হাইকোর্ট আমাদের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন সরকারি নির্দেশ লাগবে। সেইজন্য তিন মাস নগর নিগমের সমস্ত টোল বন্ধ রাখতে হবে। আমরা হাইকোর্টের নির্দেশমতো সমস্ত টোল আপাতত বন্ধ রাখছি।