সহশিক্ষকদের নির্যাতনে মানসিক অবসাদগ্রস্থ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন প্রধান শিক্ষক, জানুন বিস্তারিত

সহশিক্ষকদের নির্যাতনের দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবস্থাতে ভুগছিলেন প্রধান শিক্ষক। শেষ পর্যন্ত নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ১৮ পাতার চিঠি লিখে আত্মহত্যা করলেন তিনি।

author-image
Debapriya Sarkar
New Update
COUPLE SUICIDE

নিজস্ব প্রতিবেদন : উত্তরপ্রদেশের অমরোহা জেলার গাজরৌলা থানা এলাকার উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের আত্মহত্যার খবর পেয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। ফরেনসিক দলও ডেকে আনা হয়েছে এবং ঘরটি সিল করে রাখা হয়েছে। 

suicidee.jpg

প্রধান শিক্ষক সঞ্জীব গাজরৌলা এলাকার সুলতানঠের গ্রামের আদর্শ জুনিয়র হাই স্কুলের প্রধান ছিলেন। ঘটনার তদন্ত সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক বেশ কিছুদিন ধরে তার সহকর্মীদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে ছিলেন। ঘটনা স্থল থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। সেই নোটের ভিত্তিতেই স্পষ্ট বোঝা যায় যে কর্মচারীদের দীর্ঘদিন নির্যাতনে মানসিক অবসাদে ভুগে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক সঞ্জীব গাজরৌলা। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

Suicide

প্রধান শিক্ষকের সুইসাইড নোটে উল্লেখ আছে যে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতনের শিকার ছিলেন এবং ঘটনাগুলি ১৮ পাতার রেজিস্টারে লেখা আছে। তিনি আবেদন করেছেন যে, যতক্ষণ না ডিএম এবং বিএসএ ম্যাডাম আসেন, তার দেহকে স্পর্শ করা না হয়। নোটে আরও উল্লেখ আছে যে, তার কাছে স্কুলের কোনও জিনিস নেই এবং দুটি ট্যাবলেট নতুন সেফে রাখা আছে। তিনি পরিমা শর্মাকে স্কুলের ইনচার্জ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলেছেন, কারণ তিনি সবচেয়ে সিনিয়র শিক্ষক।

Suicide

মৃতের ছেলে অনুজ সিং জানান, স্কুলের শিক্ষকরা তার বাবাকে প্রতিদিন নির্যাতন করত এবং ঝগড়া করত। ঘটনার দিন সকাল ৭টায় তিনি বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। পরে অন্য শিক্ষকরা তার মৃতদেহ ঝুলে থাকতে দেখে খবর দেন। অনুজ বলছিলেন, "বাবা হোয়াটসঅ্যাপে আমাকে ম্যাসেজ করেছিলেন, কিন্তু দেখার আগেই তা ডিলিট করে দিয়েছিলেন। গত রাত থেকে তিনি অনেক চিন্তিত ছিলেন। আমরা তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কিন্তু তিনি কিছু বলেননি।"