নিজস্ব সংবাদদাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের জন্য ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বিনা চিকিৎসায়। তাঁদের দুই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। কিন্তু সেই তালিকায় একটি নাম রয়েছে, যাঁর মৃত্যু বেসরকারি হাসপাতালে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মৃতের তালিকায় থাকা বাঁকুড়ার এক রোগীর পরিবার বলছে, হাসপাতালে মৃত্যু হয়নি তাদের রোগীর। নার্সিংহোমে মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময় ঠিকমতো পরিষেবা পেয়েছেন বলেও জানালেন ওই রোগীর পরিজনরা।
জানা যায় শিবু মালাকারের ১১ আগস্ট সিভিয়ার ব্রেন স্ট্রোক হয়। তখন তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। সেখানে গত ১৬ অগস্ট পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন শিবু। কিন্তু সুস্থ হওয়ার পর তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়। বাড়িতে কয়েকদিন থাকার পরেই তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের সঙ্গে শিবু মালাকারের মৃত্যুর কোনও যোগ নেই তা সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বালুরঘাটে এক শিশুর নামও তালিকায় রয়েছে। কিন্তু বালুরঘাটে কোনও মেডিক্যাল কলেজ নেই। তাহলে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের কারণে সেই শিশুর মৃত্যু হল কী করে, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পরিবারের তরফে অনুদান ফিরিয়ে জানানো হয়েছে, জুনিয়র চিকিৎসকদের কারণে তাঁদের সন্তানের মৃত্যু হয়নি।