নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহল এলাকার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ আতঙ্কে থাকে হাতির জন্য কারণ এটি হাতির তান্ডবে অতিষ্ঠ হওয়া এলাকা। জেলা জুড়ে ১০০ টির বেশি হাতি রয়েছে। সেই সমস্ত এলাকার ছাত্রছাত্রীদের মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে হাতির দাপট এড়িয়ে পৌঁছানোর জন্য বনদপ্তরের পক্ষ থেকে হুটার বাজিয়ে এসকর্ট করে পৌঁছে দেওয়া হল পরীক্ষা কেন্দ্রে।
সোমবার সকাল থেকেই বনদপ্তরের কর্মীরা প্রস্তুত ছিলেন সেই কাজ সম্পন্ন করার জন্য। নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হল সেই কাজ। মেদিনীপুর সদর, পিড়াকাটা, গোয়ালতোড়, গড়বেতা, চন্দ্রকোণা, শালবনির ছ'টি পরীক্ষা কেন্দ্র হাতি উপদ্রুত এলাকার অন্তর্গত। ওই পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদের পৌঁছতে বনদপ্তর ঐরাবত গাড়ি, কর্মী সহ মশাল বাহিনী প্রস্তুত রেখেছিল। জঙ্গলের ভেতরে সরু রাস্তা। সেখান দিয়ে বাইকে করে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে যাতে যেতে পারে তাই বাঁশের ড্রপ গেট করে সেগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বাঁশের ব্যারিকেড করে হাতির এলাকা থেকে ঘোরানো হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের রাস্তা। প্রধান রাস্তাতে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা হাজির হতেই আগে থেকে জানিয়ে দেওয়া পদ্ধতি অনুসারে সকলকে একত্রিত করে বনদপ্তরের বিশেষ এসকর্ট টিম তাদের পৌঁছে দিল পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে। চাঁদড়া রেঞ্জের রেঞ্জার সৈকত বিশ্বাস জানিয়েছেন, "মেদিনীপুর ডিভিশনে ৯০ টি হাতি রয়েছে বিভিন্ন জায়গাতে। বহু হাতি ছড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন জায়গাতে। সেই সমস্ত স্থানগুলিতে আগে থেকেই প্রস্তুতি মতো বনদপ্তরের কর্মীরা ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছে।" আজ পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন। আজও একইভাবে পড়ুয়াদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দিল বনদপ্তর।