নিজস্ব সংবাদদাতা: উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে ফের একবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায় বন্যা পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করলেন। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তর কন্যায় বৈঠক করেন। সেখানেই তিনি বলেন, “দক্ষিণবঙ্গ ডিভিসি-র জলে যেমন ভেসেছে, উত্তরবঙ্গে নেপাল থেকে কোশী নদীর জল ছেড়েছে। ৫ লক্ষ কিউসেক টন জল ছেড়েছে। ওই জল বিহার হয়ে বাংলায় ঢুকছে।”
রবিবার উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তিনি বলেন, একদিকে সঙ্কোচ নদীর জলে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার বিধ্বস্ত, অন্যদিকে, নেপালের জলে বিহার হয়ে ঢুকছে, ফলে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ দিনাজপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে। ফরাক্কা ব্যারেজ ড্রেজিং না করায় এখন বাংলার এই পরিস্থিতি বলে তোপ দাগেন মমতা। প্রসঙ্গত, নেপালে বন্যা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। কোশী নদীর বাঁধ ছয় লক্ষ কিউসেক হারে জল ছাড়ছে। পাঁচ লক্ষ কিউসেক হারে গণ্ডকের বাঁধ জল ছাড়ছে। তাতেই অনিশ্চয়তা বাড়ছে। এর জেরে বিহারে বন্যা অনিবার্য। তার প্রভাব বাংলায় পড়তে পারে। নেপালে বন্যা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। ইতিমধ্যে বন্যা ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও নিখোঁজ ৪৪ জন।
আলিপুরদুয়ার আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমবে,আগামী দু তিন দিন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গে। তবে দুই তারিখ থেকে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে বলে আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। উত্তরবঙ্গে উত্তরের জেলাগুলিতে মহালয়া দিন বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা বাড়বে। যেহেতু বৃষ্টি বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গে, তাই নতুন করে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকছেই।