নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ গতকালই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে ওড়িশ্যার ধামার অঞ্চলে। এই ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। মাঝ রাতে ল্যান্ডফলের পর জেলা জুড়ে শুরু হয় ঝড় বৃষ্টি। ভোরের দিকে ঝড় সাথে বৃষ্টি শুরু হলেও সকাল থেকে আকাশ অন্ধকারাচ্ছন্ন সাথে দমকা হাওয়া ও একনাগাড়ে চলছে বৃষ্টি। দানার প্রভাবে সকাল থেকে ব্যাহত স্বাভাবিক জনজীবন,ফাঁকা রাস্তা ঘাট বন্ধ দোকান বাজার। এমনই ছবি ধরা পড়লো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা জুড়ে।
চন্দ্রকোনার বৃহৎ বাজার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা রেগুলেটেড মার্কেট চত্বর সকাল থেকে শুনশান। হাতে গোনা জনাকয়েকজন সবজি বিক্রেতা আসলেও দেখা নেই ক্রেতাদের। অধিকাংশ ফোঁড়ে, খুচরো বিক্রেতা থেকে ব্যবসায়ীরা বাজার মুখো হয়নি। এমনকি সবজি বাজারের সেডও ফাঁকা। দেখা নেই মাছ ব্যবসায়ীদেরও।
অন্যান্য দিন এই বাজারে ভোর তিনটে থেকে ফোঁড়ে থেকে সবজি চাষীদের ভিড় জমে যায়। ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে একপ্রকার শুনশান বাজার চত্বর। এহেন আবহাওয়ায় ব্যবসায় ক্ষতির আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা। আবহাওয়ার পরিবর্তন কবে বা কখন হয় সেদিকেই তাকিয়ে আমজনতা। ঘূর্ণিঝড়ের ঝড়ে মাঠে থাকা ধান গাছ পড়ে গিয়ে চরম ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় কৃষকরা। আবহাওয়ার পূর্বাভাস পেয়ে পাকা না আধপাকা ধান হারবেস্টার মেশিন দিয়ে তড়িঘড়ি কেটে ঘরে তোলা হলেও, এখন চন্দ্রকোনা,ঘাটাল, দাসপুরসহ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার মাঠে রয়েছে পাকা ধান। ঝড় ও দমকা হাওয়ায় ধানগাছ জমিতে পড়ে গেলে সাথে চলা বৃষ্টিতে সেই ধান উদ্ধার হওয়া সম্ভব না বলে দাবি কৃষকদের। ফলে ধান চাষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা।