নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঁশদ্রোণীতে পে-লোডারের ধাক্কায় ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার দুই দিন পরে পে-লোডারের চালক ও মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মৃত্যুর ঘটনার দিন পুলিশকে হেনস্থার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়, এবং সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাকিদের খোঁজও চলছে।
বুধবার, টিউশন পড়তে যাওয়ার সময় গঙ্গাপুরী শিক্ষাসদন হাইস্কুলের ছাত্র পে-লোডারের ধাক্কায় প্রাণ হারায়। এই ঘটনায় বাঁশদ্রোণী এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং পুলিশকে সেখান থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে ব্যাপক হেনস্থার সম্মুখীন হতে হয়। উত্তেজিত জনতা পুলিশের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে, এবং তাঁদের মধ্যে একজন নিজেকে বিজেপি কর্মী বলে পরিচয় দেয়, যদিও স্থানীয়দের মতে তিনি তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ। দুর্ঘটনার পর, অবশেষে পুরসভার হুঁশ ফিরেছে। গত ৭-১০ বছর ধরে যে রাস্তা মেরামতি হয়নি, এক তরুণের মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেখানে মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে খারাপ রাস্তার অবস্থা নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন, কিন্তু প্রশাসনের কোনো সাড়া ছিল না।
বাঁশদ্রোণীর দীনেশ নগর এলাকা দুর্ঘটনার পর রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। স্থানীয়রা তাদের ক্ষোভ উগড়ে দেন, এবং কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদার দুর্ঘটনার পর এখনও এলাকায় আসেননি। বরো চেয়ারম্যন তারকেশ্বর চক্রবর্তীর দাবি, তারা এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ করছে, কিন্তু ১৪ বছর আগে বিদায়ী বাম সরকারের জন্য দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, "এখানে উন্নয়ন হয়নি, কিন্তু আমরা KEIP প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করছি।" এই ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে প্রবল অসন্তোষ দেখা দিয়েছে, এবং তারা বলছেন, যদি আগে কাজ শুরু হত, তাহলে তাদের সন্তানকে হারাতে হত না। মৃতের বাবা আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, "এত বছরেও যা হয়নি, রাতারাতি সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।"