বন্ধ ঘরে দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়

ঘটনায় উখরার শ্যামসুন্দরপুর কোলিয়ারী সংলগ্ন এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

author-image
Adrita
New Update
ও

নিজস্ব সংবাদদাতা, অন্ডাল: দরজা বন্ধ ঘরে দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো অন্ডাল থানার শ্যামসুন্দরপুর কোলিয়ারির চনচনি এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে অন্ডালের শ্যামসুন্দরপুর কোলিয়ার চনচনির ভূঁইয়া পাড়ায়।

গত রাতে পাশেই মামার বাড়িতে ঘুমোবার জন্য গেছিল মৃত দম্পতির ছেলে রোহিত বাউরি। সকালে বাড়ি ফিরে অনেক ডাকাডাকি করেও মা-বাবা দরজা খুলছে না দেখে প্রতিবেশীদের ডাকে রোহিত বলে সূত্র মারফৎ জানা যায়।প্রতিবেশীদের উপস্থিতিতে দরজা ভাঙতেই দেখা গেল স্বামী গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং পাশেই খাটে গলায় ওড়না জড়ানো নিথর দেহ পড়ে আছে। ঘরের দেওয়ালে বড় বড় করে লেখা," আমাদের এক সঙ্গে জ্বালাবে।''  যদিও জ্বালাবে লেখাটি পরিষ্কার নয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় অন্ডাল থানার  উখড়া ফাঁড়ির পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয় আসানসোল জেলা হাসপাতালে।

আত্মঘাতী স্বামী নীলকণ্ঠ বাউরী (৪৭) ও তার স্ত্রী লিলি বাউরী (৩৮) থাকতেন একই সঙ্গে ।তাদের কন্যাসন্তানের বিবাহ হয়েছে। তাদের একমাত্র পুত্র সন্তান রোহিত বাউরি মা-বাবার সাথে থাকলেও রাতে প্রায়শই পাশেই মামার বাড়িতে রাতে ঘুমাতে যেত।স্থানীয়দের কথায় পেশায় গাড়িচালক নীলকণ্ঠের সাথে তার স্ত্রী লিলির নিত্যদিন ঝগড়াঝাঁটি হত। দুজনের এই অশান্তি প্রায় প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মৃতা লিলি বাউরির ভাই সন্দীপ বাউরী জানান, তার দিদি ও জামাইবাবুর সঙ্গে সাংসারিক অশান্তি লেগেছিল দীর্ঘদিন ধরেই। আর এই পারিবারিক অশান্তির কারণেই তার জামাইবাবু নীলকন্ঠ বাউরী তার দিদি লিলিকে প্রথমে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে নিজে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। যদিও এই বিষয়ে উখড়া ফাঁড়িতে লিখিত কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি বেলা বারোটা পর্যন্ত। 

পারিবারিক সূত্রে জানা যায় লিলি বাউরি উখড়া বাজারের একটি দোকানে কাজ করতেন বলেও জানা গেছে। কিন্তু কি কারণে এই চরম সিদ্ধান্ত নীলকন্ঠ বাউরির ? তবে ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষ ময়না তদন্তের পরই উঠে আসবে আসল সত্য। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে অন্ডাল থানা ও উখড়া ফাঁড়ির পুলিশ। এই ঘটনায় উখরার শ্যামসুন্দরপুর কোলিয়ারী সংলগ্ন এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

Add 1