নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আরজি করের ঘটনায় সারা দেশ আজ উত্তাল হয়ে উঠেছে। শুধু দেশই নয়, নির্যাতিতার বিচারের দাবীতে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সুদূর বিদেশেও। তবে এই ঘটনার মধ্যেই সামনে এল আর এক ঘটনা। কলকাতায় তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ এবং খুনের পরে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীতে উদ্ধার হল ছাত্রীর মৃতদেহ। এই নিয়ে দানা বাঁধছে রহস্য।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, বিশ্বভারতীর আম্রপালি হোস্টেল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ছাত্রীর মৃতদেহ। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান যে, ছাত্রীটি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের পরে, তাঁকে প্রথমেই স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তবে সেখানে স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
পরিবারের দাবী যে, তাদের মেয়েকে আত্মহত্যা করতে প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। তবে পুলিশ এর তদন্ত শুরু করেছে। বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতা ছাত্রী বারাণসীর বাসিন্দা ছিলেন। তিনি বিশ্বভারতীর শিল্প সদনের ছাত্রী ছিলেন। তাঁকে গত সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিট নাগাদ আম্রপালি গার্লস হস্টেলে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তার সহপাঠীরা। তৎক্ষণাৎ পরিবারে সদস্যদের খবর দেওয়া হয়।
পরিবারের দাবী অনুযায়ী এই ঘটনার পিছনে জড়িয়ে রয়েছে অন্য কেউ। তদন্তে নেমেছে স্থানীয় থানার পুলিশ। এই রহস্যমৃত্যুর পিছনে কে বা কারা আছে তা সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যাবে বলেই অনুমান পুলিশের। এই ঘটনায় গোটা আম্রপালি গার্লস হস্টেলে উত্তেজনা এবং আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।