নিজস্ব সংবাদদাতা, কাঁকসা: টুমনি নদীর ভয়াবহ রূপে বিপন্ন হয়ে পড়েছে কাঁকসার মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের বিষ্ণুপুর এবং অজয়পল্লী। টানা নিম্নচাপের জেরে নদীর জল বিপজ্জনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ইতিমধ্যেই কয়েকশো বিঘা কৃষিজমি প্লাবিত হয়েছে। এলাকার বেগুন, পটল, উচ্ছে, শাক-সবজি ও ধান চাষের জমি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এরই মধ্যে টুমনি নদীর বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। যা আরও ভয়াবহ প্লাবনের আশঙ্কা তৈরি করছে। কৃষকরা বাঁধ মেরামতের দাবি জানিয়েছেন। তাদের আশঙ্কা যে সময়মতো পদক্ষেপ না নিলে বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হবে।
কৃষক মধুসূদন ঘোষ ও দিলীপ বিশ্বাস বলেন, " টুমনি নদীর ভয়াল রূপে আমাদের ফসলের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। এখন নদীর বাঁধও ভাঙতে শুরু করেছে। বাঁধটি সম্পূর্ণ ভেঙে গেলে কয়েক হাজার বিঘা জমি প্লাবিত হবে। আমাদের মতো কৃষকেরা সর্বস্বান্ত হয়ে যাবে। একাধিক গ্রামও জলের তলায় চলে যাবে। প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আমাদের পথে বসতে হবে। " সেচ দপ্তরের সাথে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ নবকুমার সামন্ত। তিনি জানান, " চাষিদের সমস্যা সমাধানে রাজ্য প্রশাসন সর্বদা তৎপর। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি এবং সেচ দপ্তরের মাধ্যমে দ্রুত বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করা হবে। "
তবে, এই অবস্থায় বিরোধীরা সরব হয়েছে। বিজেপির স্থানীয় সহ-সভাপতি রমন শর্মা কটাক্ষ করে বলেন, " এটাই বাংলার পরিস্থিতি। চাষিরা জীবন-মৃত্যুর সংকটে রয়েছে, আর সরকার কেবল কাটমানি আর টাকার ভাগ নিয়েই ব্যস্ত। " এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য, নদীর অব্যাহত জলবৃদ্ধি এবং প্লাবনের আশঙ্কায় কৃষকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি কতটা দ্রুত বাস্তবায়িত হবে, সেটাই এখন দেখার। তবে, আপাতত চাষিরা পাথর দিয়ে বাঁধ মেরামতের দাবি জানিয়ে তাদের জীবন-জীবিকা রক্ষার জন্য চূড়ান্ত পদক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছেন।