নিজস্ব প্রতিনিধি: বিনা অনুমতিতে গাছ কেটে তা গাড়িতে করে যাচ্ছিল কাঠ চেরাই মিলের উদ্দেশ্যে। খবর পেয়ে সেই গাড়ি এবং গাছের গুঁড়ি বাজেয়াপ্ত করল বনদপ্তর। অভিযোগ রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ঘিরে শোরগোল। বনদপ্তর জানিয়েছে, গাছ কাটা এবং পরিবহনের কোনও অনুমতি ছিল না। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেলে মেদিনীপুরে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয় কলেজের মধ্যে বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়ায় বেশ কিছু গাছ কাটা হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই গাছ একটি গাড়িতে করে যাচ্ছিল কাঠ চেরাই মিলের উদ্দেশ্যে। সেই সময় নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় বনদপ্তরের কর্মীরা। গাড়িটিকে ধাওয়া করে মেদিনীপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা থেকে আটক করে নিয়ে যায় মেদিনীপুর রেঞ্জ অফিসে।
বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাইলে দেখাতে পারেননি চালক সামসের মল্লিক। তবে তিনি একটি কাগজ দেখিয়েছেন, যেখানে পরিবহনের জন্য ওই মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা অনুমতি দিয়েছেন (যদিও তার সত্যতা যাচাই করিনি আমরা)। বনদপ্তর ছাড়া পরিবহনের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ কি অনুমতি দিতে পারেন? মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা জয়শ্রী লাহাকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, "কলেজের গাছ ঝড়ে পড়ে গেলে বা শুকনো হয়ে গেলে কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই ওই ব্যক্তিকে দেওয়া হয়। তবে যে কাগজ উনি দেখাচ্ছেন ওই কাগজ দিয়েছি কিনা আমার মনে নেই, তা দেখতে হবে।" বনদপ্তরের গোপগড় বিট অফিসার মলয় নন্দী বলেন, "রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের ভেতরে বেশ কিছু গাছ কাটা হয়েছিল যার অনুমতি ছিল না বনদপ্তরের। সেই গাছ গাড়িতে করে কাঠ চেরাই মিলের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। আমরা খবর পেয়ে গাড়িটিকে আটক করি। গাড়ির চালক যে কাগজ দেখাচ্ছেন তা কলেজ কর্তৃপক্ষ পরিবহনের জন্য এভাবে অনুমতি দিতে পারেন না। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।"
Raja N.L.Khan Women's College | Medinpur | West Bengal | Tree . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .