নিজস্ব সংবাদদাতা : উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে এক আদিবাসী যুবতীর দেহ তিন দিন পর পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে। যুবতীর দেহ উদ্ধারের পর জানা যায়, ৪ ডিসেম্বর বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন ওই যুবতী। কালীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটিহারার ঘোষপুরের বাসিন্দা এবং উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়া ছিলেন তিনি। রাতে বাড়ি না ফেরায়, তাঁর পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে, কিন্তু কোথাও খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে, ৬ ডিসেম্বর ন্যাজাট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।
শনিবার সকালে, ৭ ডিসেম্বর, ঘটিহারা এলাকার একটি পুকুরে তরুণীর দেহ ভাসতে দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুকুর থেকে দেহ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ দেখে, যুবতীর হাত-পা বাঁধা ছিল। দেহটি যুবতীর বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে পাওয়া যায়। পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে দেহ শনাক্ত করেন এবং দাবি করেন, তাঁকে পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছে এবং পরে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। খুনের আগে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়, তবে পরিবারের সদস্যরা ধর্ষণের আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, খুনই হয়েছে। তবে, ধর্ষণের ঘটনা নিশ্চিত করতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অপেক্ষা করা হচ্ছে। নিহতের দেহ বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ মৃতের কললিস্ট এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছে, পাশাপাশি তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।