নিজস্ব সংবাদদাতা : লকআপে যুবককে পিটিয়ে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানায়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সেনগুপ্তর এজলাসে মামলা দায়ের করার অনুমতি চাওয়া হয়। এরপর অনুমতি ক্রমে মামলা দায়ের হতেই বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। থানার আই সি ও তদন্তকারী অফিসারকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ আদালতের। সেই সঙ্গে তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দিল ২৮ সেপ্টম্বর পর্যন্ত। লকআপে পিটিয়ে হত্যার যে অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে তা গুরুতর। এমনই বক্তব্য বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের। গুরুতর ঘটনা হওয়ায় তদন্তের স্বচ্ছতার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। ঘটনার তদন্ত আর স্থানীয় পুলিশের হাতে নেই। তদন্তের ভার এখন সিআইডির ওপর। তদন্তের অগ্রগতি কতটা হচ্ছে তা জানতেই রিপোর্ট তলব করলো আদালত।
উল্লেখ্য, জিজ্ঞাসাবাদের নামে থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল নবগ্রাম থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। যুবকের গলায় বেল্টের ফাঁস লাগিয়ে খুনের অভিযোগ করে তাঁর পরিবারের সদস্যরা। নবগ্রাম থানার ওসি অমিতকুমার ভকত ও সাব ইন্সপেক্টর শ্যামল মণ্ডলের বিরুদ্ধে মানসিক অত্যাচার, মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টির অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।