কলেজ চত্বরে ফুটপাত দখল, দোকান বসানোর চেষ্টা, অবরোধে শিক্ষক-শিক্ষিকারা

পুনরায় কলেজ স্কোয়ারের ফুটপাত দখল করে দোকান বসানোর চেষ্টা, অবরোধ শুরু করেছে কলেজ ও কলেজিয়েট শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

author-image
Probha Rani Das
আপডেট করা হয়েছে
New Update
vvcvc22.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ঐতিহাসিক মেদিনীপুর কলেজ ও কলেজিয়েট স্কুলের সামনে ফুটপাত থেকে সরানো হয়েছিল দোকানদারদের। বিকল্প হিসেবে তাদের জায়গা দেওয়া হয়েছিল শিক্ষা ভবনের গলিতে। সেখানে নাকি ব্যবসা হচ্ছে না।

তাই শুক্রবার সকাল থেকে পুনরায় দোকানের স্টল নিয়ে ভিড় জমাতে থাকলো কলেজ ও কলেজিয়েট স্কুল চত্বরের ফুটপাতে। প্রতিবাদে পথে নামলেন কলেজ ও কলেজিয়েট স্কুল কর্তৃপক্ষ। শিক্ষক শিক্ষিকাদের পথ অবরোধ ঘিরে ঘটনায় শোরগোল। যদিও তাঁদের দাবি, অবরোধ নয়, প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নামতে হয়েছে।

WhatsApp Image 2024-07-26 at 6.18.12 PM.jpeg

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই মেদিনীপুর শহরে যানজট মুক্ত করতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে প্রশাসন। মেদিনীপুর কলেজ ও কলেজিয়েট স্কুল চত্বর এলাকাটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে। সেই এলাকায় রাস্তার পাশে ফুটপাতে থাকা দোকানগুলিকে সরিয়ে অন্যত্র পুনর্বাসন দেয়। ওই স্থানটিতে ঐতিহাসিক স্মৃতি সৌধ নির্মাণেরও সিদ্ধান্ত নেয় মেদিনীপুর পৌরসভা। তার আগে শুক্রবার সকাল থেকে শিক্ষা ভবনের গলি থেকে নিজেদের দোকানের স্টলগুলি নিয়ে এসে ফুটপাতে আবার বসতে শুরু করে। তখনই প্রতিবাদে নামেন কলেজ ও কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা। দোকানদারদের দাবি, "সেখানে বিক্রি হচ্ছে না। ফলে না খেতে পেয়ে আমরা মারা যাব। তাই বাধ্য হয়ে এখানে দোকান নিয়ে এসেছি।"

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সত্য রঞ্জন ঘোষ বলেন, "দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ঐতিহাসিক স্থানটিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার। প্রশাসনকেও আমরা জানিয়েছিলাম। কিছুদিন আগেই সেই দোকানগুলিকে পুনর্বাসন দিয়ে অন্যত্র সরানো হয়। আজকে আবার দেখি পুনরায় সেই দোকানগুলি বসতে শুরু করে। আমরা মহকুমা শাসক এবং পৌরপ্রধানকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। কলেজিয়েট স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষ মিলে দোকানদার ভাইদেরও জানালাম। আমরা চাইনা তাদের রুটিরুজি বন্ধ হোক। প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে তার একটা সুরাহা করার কথা আমরা জানিয়েছি।"

পৌরপ্রধান সৌমেন খান বলেন, "যে সমস্ত দোকান এখানে এসেছিল তারা যে অবস্থায় ছিল সেখানে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।" কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শিবানী পড়িয়া বলেন, "আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে নেমেছি। যেভাবে জায়গাটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রয়েছে তা শহরবাসীও চেয়েছিলেন। আগামী দিনেও প্রশাসনের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত হবে।” 

Adddd