অমিল অ্যাম্বুলেন্স! ১৭০ টাকার ব্যাগে সন্তানের দেহ! এবার তলব রিপোর্ট

উত্তরবঙ্গে এর আগেও অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে মৃতদেহ কাঁধে করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। অ্যাম্বুলেন্স চালক প্রথমে মৃতদেহ নিয়ে যেতে রাজি হননি। তারপর কয়েক হাজার টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।

author-image
Pallabi Sanyal
আপডেট করা হয়েছে
New Update
স্বাস্থ্য ভবন

স্বাস্থ্য ভবন

নিজস্ব সংবাদদাতা : কালিয়াগঞ্জে অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে ব্য়াগে ভরে সন্তানের দেহ নিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নড়ে চড়ে বসেছে স্বাস্থ্য ভবন।  ঘটনা ঠিক কী ঘটেছে তা জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব করা হল  উত্তর দিনাজপুরের সিএমওএইচের কাছে। এদিকে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত,উত্তরবঙ্গে এর আগেও অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে মৃতদেহ কাঁধে করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। অ্যাম্বুলেন্স চালক প্রথমে মৃতদেহ নিয়ে যেতে রাজি হননি। তারপর কয়েক হাজার টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। অতো টাকা দেওয়ার মতো পরিস্থিতি না থাকায় স্ত্রীর মরদেহ বাধ্য হয়ে কাঁধে করেই নিয়ে গিয়েছিলেন বাবা-ছেলে। এই ঘটনারই পুনঃরাবৃত্তি হল কালিয়াগঞ্জে।  অসুস্থ যমজ সন্তানের  চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্ব হতে বসেছেন পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক অসীম। কালিয়াগঞ্জের  মুস্তাফানগরের বাসিন্দা হওয়ায় প্রথমে দুই পুত্রকে  কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয়  রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এক সন্তান সুস্থতা লাভ করলেও আরেকজনকে নিয়ে বাড়ে দুশ্চিন্তা। তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শনিবার রাতেই সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর মাস পাঁচেকের শিশুর দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসে ফোন করেন অসীম। কিন্তু মৃত শিশু নিয়ে যাবে না বলে জানিয়ে দেন অ্যাম্বুলেন্স চালক। এরপর হাসপাতালের বাইরে অ্যাম্বুলেন্সের খোঁজ করতে থাকেন সদ্য সন্তান হারা বাবা। অ্যাম্বুলেন্স চালক ৮০০০ টাকা চায় বলে দাবি। সেই টাকা দিতে অপারগ হওয়ায় ১৭০ টাকা দিয়ে ব্যাগ কিনে তার মধ্যেই সন্তানের মরদেহ ভরে নিয়ে যান বাবা। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই অ্যাম্বুলেন্সরাজ নিয়ে ক্ষুব্ধ সব মহল।