নিয়ম লঙ্ঘন! ভিডিও পোস্ট করে অভিযোগ শুভেন্দুর

মনোনয়নে নিয়ম লঙ্ঘের অভিযোগ! সরব বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ভিডিও পোস্ট করে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন সামনে তুলে ধরেছেন তিনি।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
12

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা : পঞ্চায়েত পর্বের মনোনয়ন পর্ব শুরু হতেই জেলায় জেলায় ধরা পড়েছে অশান্তির ছবি। বিরোধীদের মনোনয়নে বাধা দানের অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। বাঁকুড়া জেলার শালতোডডা বিডিও অফিসে আনলিমিটেড মনোনয়ন পত্র ও ডিসিআর সংগ্রহের অভিযোগ তুলে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার বক্তব্য,  পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জারি করা "রিটার্নিং অফিসারদের জন্য হ্যান্ডবুক" (পঞ্চায়েত নির্বাচন) এর ১৩ নম্বর পৃষ্ঠায়  স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে- ৪টির বেশি মনোনয়নপত্র কাউকে দেওয়া যাবে না। সেখানে তৃণমূলের নিয়ম আলাদা বলে সুর চড়িয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট বার্তায় উল্লেখ করেন, ''পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যাবে শালতোড়া ব্লকের তিলুরির তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি তপন চক্রবর্তী বিডিও অফিস থেকে সীমাহীন মনোনয়নপত্র এবং ডিসিআর সংগ্রহ করছেন। বাঁকুড়া জেলার টিএমসি প্রার্থীদের জন্য মনোনয়নপত্রের "হোম ডেলিভারির" সুবিধা দিচ্ছেন৷'' ঘটনার উল্লেখ করে বিরোধী দলনেতা প্রশ্ন তোলেন, কেন এই নিয়মগুলি প্রথমে তৈরি করা হয় যদি সেগুলি অনুসরণ করা না হয়? তারা পাবলিক সার্ভেন্ট নাকি টিএমসি সেবক? বিজেপি নেতা পোস্টের শুরুতেই শাসক দলকে আক্রমণ শানিয়েছে লিখেছেন, ''যখন বিরোধী প্রার্থীরা, যারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহের জন্য বিডিও অফিসে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের সাথে তৃণমূলের গুন্ডাদের বাধা ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে; তাদের দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। যদি তারা ভাগ্যবান হয় তবে কয়েক ঘন্টা পরে তাদের মনোনয়নপত্র এবং ডিসিআর (ডুপ্লিকেট কার্বন রসিদ) হস্তান্তর করা হবে অন্যথায় তাদের জানানো হবে যে বিকাল ৩ টা বেজে গেছে তাই এখন কোনও অফিসিয়াল কাজ করা সম্ভব হবে না বা পর্যাপ্ত নথি নেই এবং তারা তাদের কাছে কোনো মনোনয়নপত্র হস্তান্তর করতে প্রস্তুত নয় এবং প্রার্থীদের পরের দিন আবার আসতে বলবে।''


প্রসঙ্গত, বিরোধীদের মনোনয়নে যেভাবে শাসকের বিরুদ্ধে বাধা দানের অভিযোগ উঠছে তাতে গতকালই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানায় বঙ্গ বিজেপির প্রতিনিধি দল।  সিভিকদের কীভাবে ভোটের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে সেই নিয়েও সুর চড়ায় বিজেপি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে  ঝুরি ঝুরি অভিযোগও তেমন উঠছে। এদিকে আগমী ১৩ জুন সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছে রাজ্য় নির্বাচন কমিশন। সেই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে সব মহল।